২৫০ শয্যায় একটি বিজ্ঞাপণ ক’টি পত্রিকায় ?

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
  • 79 পাঠক

দিশারী ডেস্ক।১২ ডিসেম্বর, ২০২৪।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালীর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে বিজ্ঞাপণ নিয়ে চলছে চরম দলবাজি , দখলবাজি ও হরিলুটকান্ড। সূত্র জানায়, ১২ ডিসেম্বর, বৃহষ্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একটি ৩২ ইঞ্চি সাইজের বিজ্ঞাপণ দেয়া হয়েছে কমপক্ষে ২০টির অধিক পত্রিকায়।

————————————————————————————————–

নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার সরকারী জেনারেল হাসপাতালে বিজ্ঞাপণেও দলবাজি, দখলবাজি ও হরিলুট ?

———————————————————————————————–

জানা যায়, কতেক লোক হঠাৎ এ দপ্তরে হাজির হয়ে নিজের দলীয় সাংবাদিকতার পরিচয় জাহির করছেন যখন-তখন। তারা নিজেকে বিগত সময়ে বঞ্চনার অজুহাত তুললেও মূলত বিগত সরকারকালেও এরাই সরকারের প্রায় দপ্তর থেকে ভাগিয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ বিজ্ঞাপন।

নিজের খেয়াল খুশিমতো বিজ্ঞাপণ হাতিয়ে নেয়াদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন, যে বা যারাই একাই ভাগিয়েছেন নিজের নামে কমপক্ষে তিনটি পত্রিকায়। ফলে দিনদিন একটি দলবাজি, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ক্ষয়িঞ্চু মানের সাংবাদিকতায় রুপান্তরিত হচ্ছে নোয়াখালীর সাংবাদিকতা।

পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ প্রচার ও প্রকাশের বিধি অনুযায়ী, কোন সরকারী দপ্তরের কার্যাদেশের বিজ্ঞাপণ দুটি বাংলা ( একটি স্থানীয় ও একটি জাতীয় ) ও একটি ইংরেজী দৈনিকে প্রচার ও প্রকাশের বিধি বাধ্যকর থাকলেও এ দপ্তরের ধান্ধাবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অজ্ঞতায় একই বিজ্ঞাপণই দেয়া হয়েছে কমপক্ষে ২০/২৫ পত্রিকায়। যা একটি আইন বিধিবর্হিভূত কাজ ও অসঙ্গতিপূর্ণ রেওয়াজ হয়।

এ বিষয়ে একটি সরকারী দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোন দপ্তরের উন্নয়ন কর্মের একটি বিজ্ঞপ্তির কার্যাদেশ প্রকাশেই যদি সে প্রকল্পের মোট বরাদ্ধের কিয়দাংশই ব্যয় হয়, তাহলে আর উন্নয়নের অর্থের সংস্থানই-বা কতটুকু অবশিষ্ট থাকে। তাছাড়া, এটি সম্পূর্ণ অজ্ঞতা বিনে অন্য কিছু নয়।

————————————————————————————————

এ প্রসঙ্গে একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক বলেন, কমপক্ষে শব্দটি একটি বাধ্যকর বিধি বিধান। কিন্তু, তার মানে এটা নয় যে, আপনি মনগড়া ও যথেচ্ছভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। এটারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ সীমা লঙ্গনটাও সরকারী প্রকল্পের অর্থ অপচয়ের শামিল। যা একটি দুর্নীতি সংঘটনের অজুহাত মাত্র। যা কোন না কোনভাবেই একটি দুর্নীতি সংঘটনকে প্রকাশ্যে উৎসাহিত করে।

তিনি আরো বলেন, এক সময় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং দলবাজি জায়েজ করতে ধারাবাহিকতা ( বাই সিরিয়াল ) বলা হলেও তারও কুল কিনারা পার। যা একটি সংবাদজগতের শৃঙ্খলাবোধ কাঠামো পুর্ণগঠনে কোনভাবেই সহায়ক নয়। একালেও যদি আরেকটি রেওয়াজের আর্বিভাব হয়, আমাদের দুঃখবোধ করা ছাড়া উপায় নেই।

————————————————————————————————-

সূত্র জানায়, যারা এ দপ্তরের সরকারী বিজ্ঞাপন প্রকাশের করণিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন, তারা বিগত সরকারের রাজনীতি ও রীতিনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন একট্রায়। যে কারণে বর্তমানে কোন ব্যক্তি নিজেকে এ আমলের দলবাজ সাংবাদিক পরিচয় দিলেই ভয়ে অস্থির হয়ে ওঠেন তারা। এ কারণে তারা নিজেদের দলবাজি, ধান্ধাবাজি ও প্রেতাত্ম্য সুরক্ষা রাখতে একের পর এক অনিয়ম, অন্যায় ও বেআইনী প্রথায় এসব অপরাধ সংঘটন করে চলছেন।

এ বিষয়ে জেলার একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, ইতোপূর্বেও এ দপ্তর থেকে একই বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে ২২টি পত্রিকায়। তিনি বলেন, এ দপ্তরে বিজ্ঞাপণ প্রকাশের এমন অসঙ্গতি মূলত ৫ আগষ্টের পরই একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। যেন এখানে সব কিছুতেই চলছে হরিলুট। যা একটি অনিবার্য সরকার ব্যবস্থায় কোনভাবেই কাম্য নই।

সংঘটিত অসঙ্গতি ও অনিয়মের ধারাবাহিকতা বিষয়ে তত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিনকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পাওয়ায় তার মতামত প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!