রাজনীতির ক্লান্তিহীন নাবিক

  • আপডেট সময় বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
  • 47 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।

কর্মজীবনের শুরুতেই দল, দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি নিখাদ ভালবাসাকে নিত্য সঙ্গী করে নিয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বচিত হয়ে দীর্ঘ দু’যুগ সভাপতি পদের সম্মান রক্ষা করেছিলেন।

নেতা, কর্মী, সমর্থকদের বিপদে-আপদে বিন্দুমাত্র বিরক্তবোধেরই উন্মেষ ঘটেনি তার রাজনৈতিক চরিত্রে। সদা হাস্যেজ্জ্বল। রাজনীতির পিচ্ছিল পথের ক্লান্তিহীন এক নাবিক।

সদর পেরিয়ে নোয়াখালীর সবক’টি উপজেলার প্রতিটি পাড়া, মহল্লায় বিচরণ তাঁর। এক নামে, এক ডাকে ,একবাক্যে সবারই প্রিয়সৌহার্দ্য এডভোকেট আবদুর রহমান।

————————————————————–

নোয়াখালীর বিএনপি

————————————————————-

পৈত্রিক নিবাস সদর উপজেলার ধর্মপুরে। পিতার নামে বাড়ির দরজায় হয়েছে হাজির হাট। ওই বাজারেই ধর্মপুরের ডাকঘর। বাড়ির দরজায় নিজেদের পৈত্রিক জায়গায় রয়েছে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত উচ্চ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে একটি হাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ও।

পিতা হাজী ইদ্রিছ মিয়াও জীবদ্দশায় ছিলেন এক সাধারণ জীবন যাপনের অভ্যস্থ মানুষ। মানুষের বিপদে-আপদে তিনিও নিজের বাড়ির সদর দরজা খোলা রাখতেন সার্বক্ষনিক। সবার জন্যে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ওই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক বীরমুক্তিকামী মানুষ।

তাঁরই সর্বকনিষ্ঠ পুত্র আবদুর রহমান। তিন পুত্রের জনক। প্রতিটি পুত্রই উচ্চ শিক্ষায় সম্ভ্রান্ত।সুশিক্ষিত। বড়পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি সনদ নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আইন পেশায় নিয়োজিত রাখছেন নিজেকে।

আবদুর রহমান ১৯৯১ সালে বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। এক সুর্দীঘকাল সুশাসন, উন্নয়ন, ভ্রার্তৃত্ববোধ, ন্যায়বিচার, ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও স্নেহাশীষের  বদৌলতে এলাকার সর্বমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

তাঁর এক বড় ভাই হাজী ইব্রাহীম মিয়াও এক সুদীর্ঘ কাল নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হয়ে গণমানুষের সেবায় নিজেকে জনপ্রিয় করেছিলেন।

ধর্মপুরের একজন নাগরিক দৈনিক দিশারী’র সম্পাদক ও প্রকাশক আকাশ মো. জসিম বলেন, ধর্মপুরের প্রতিটি বয়োজেষ্ঠ্য মানুষ আবদুর রহমানকে তাঁদের প্রেরণার ঠিকানা হিসেবে মনে করতেন। তাঁরা আবদুর রহমানের সাথে দেখা করতে পারলে নিজেদের ধন্যও মনে করতেন বলে আমার ধারণা রয়েছে।

——————————————————————————————

তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগতজীবনে তিনি একাধারে একজন সদালাপী, সদাচারী, অহিংস, মানবতাবাদী, সামাজিকভাবে পরম সুশীল ও রাজনৈতিকভাবে একজন প্রাজ্ঞ গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ। একজন রাজনৈতিক কিংবা মানবিক গুণের সম্ভারের বিদগ্ধজন হিসেবে আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি।তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত আদর্শিকতায় ধর্মপুরের অনেক শিক্ষিতরাই আইনপেশায় যুক্ত হয়েছেন। 

——————————————————————————————

সদর উপজেলার ধর্মপুরেরও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি। এরপর রাজনৈতিক পরিমন্ডলে নানা যশ, খ্যাতি আর সুনাম জেলার দিকবিদিকে পরিচিতি করিয়ে দেয় তাঁকে।

তিনি নোয়াখালী আইনজীবি সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক ও দু’বার সভাপতি পদে জয় লাভ করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি পদেও।

এছাড়া ১৯৯১ সালে নোয়াখালীর আদালতে এপিপি ও ২০০১ সালে পিপি পদে বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার সুনাম রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পেশাদারিত্বের খাতায়।

আবদুর রহমান সদর উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব পালনে যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার উদাহরনের ফসলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বভারে মর্যাদাসীন হয়েছিলেন। এর আগে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আরেকটি কমিটি ঘোষণা হলে সে কমিটিতে সভাপতি হিসেবেও নাম ওঠে তাঁর।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে দলের প্রতিটি উপজেলায় তৃণমূল থেকে দলকে সাহসী, শক্তিশালী ও সাংগঠনিক কাঠামায় ঐক্যবদ্ধকরণে ক্লান্তিবোধ ছিলনা আবদুর রহমানের।

বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে অবর্ণনীয় হামলা, মামলা, শোষন, বঞ্চনা, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলায় জর্জরিত হলেও কোন কর্মীই মনোবল হারাননি তাঁর সহাস্যে। বরং, প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রামে নিজেকে সাংগঠনিক নেতার পরিচয় দিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,সাহস আর বিচক্ষণতায়।

সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এডভোকেট আমির হোসাইন আমির বলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির রাজনীতিতে এডভোকেট আবদুর রহমান আইনাঙ্গনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে ছিলেন বলেই আমরা তৃণমূলে হামলা, মামলা, নির্যাতন ও নিষ্পেশনের শিকার হয়েও মনোবল হারায়নি। কেননা আমাদের শক্তি ও বিশ্বাস ছিল যে, আদালত পাড়ায় আমাদের একজন আবদুর রহমান আছেন। তিনি অন্তত আদালত পাড়ায় আওয়ামীদের নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের হয়ে লড়বেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাসের সাথে জনাব আবদুর রহমানের কাজের প্রেরণা আমাদের সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে। তাঁর ঠিকানায় আমরা বছরের পর বছর বিরোধী দলের হয়ে রাজনীতি করার সামর্থ্য রেখেছি।

———————————————————————————–

বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলা বিএনপির বিগত সভাপতি, সম্পাদকের সময়ে ঝড়-ঝঞ্চা, রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলের প্রতিটি সভা, সমাবেশ, অনুষ্ঠান, আয়োজন অত্যন্ত নান্দনিকভাবে সফল হয়েছে দিকবিদিক আওয়াজে। তিনি বলেন, বিগত সময়ে যারা দলের বিরোধীতা করেছেন কিংবা দলের সভা, সমাবেশে অনুপস্থিত ছিলেন তারা দেখেওননি। তাই বলতেও পারবেননা। স্বীকারও করবেনা।

———————————————————————————–

সুবর্ণচরের ওমর ফারুক, আবদুল হাই, সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল কাদের, নুর আলম, সোহেল আরমান, ফজলে হক বলেন, এডভোকেট আবদুর রহমান অসাধারণ রাজনৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়েছে।

দৈনিক নয়াপৃথিবীর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার আমাকে অর্ধশত মামলায় আসামী করেছে। গ্রেফতার শেষে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে সে সরকার। আমার হয়ে প্রতিটি মামলায় এডভোকেট আবদুর রহমান আইন সহযোগিতা করেছেন। তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

—————————————————————————————–

নিজের সম্পর্কে কোন কিছু না বাড়িয়ে এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, আমি আমার নেতা মো. শাহজাহানের একজন কর্মী। আমি শাহজাহান ভাইয়ের নির্দেশ ব্যতিরেখে রাজনীতি করিনি। তিনি যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন পালন করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি সেটা বিএনপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরাই মূল্যায়ন করবে।

—————————————————————————————–

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!