মৃত্যু থেকে কেউ কখনো রেহাই পাবে না। প্রত্যেক মানুষের মৃত্যু নির্ধারিত। সেই সুনির্দিষ্ট সময়ে অনিবার্য মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। কিন্তু এমন কিছু সহজ ও সুন্দর আমল আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা হায়াত বাড়িয়ে দেন।
হায়াত বেড়ে যাওয়া এটা আক্ষরিক অর্থে হতে পারে। আবার এমন অর্থও হতে পারে যে, মহান আল্লাহ হায়াতে বরকত দান করেন। ফলে অল্প সময়ে অনেক বেশি সৎকর্ম করা সম্ভব হয়। এই কারণেই কেউ কেউ (উদাহরণস্বরূপ) ৭০ বছরের কাজকর্ম ও আমল ৫০ বছরেই করে ফেলতে পারে। অথবা হায়াত বৃদ্ধি বলতে মহান আল্লাহ তাকে এমন কাজ করার তাওফিক দান করবেন, যা মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ রাখবে।
এক. মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা
সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২১৩৯)
আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখা ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আত্মীয়তার বন্ধন যারা ঠিক রাখে, তাদের জীবনে আল্লাহ তাআলা অদৃশ্য বরকত দান করবেন।
আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি চায় যে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)
প্রতিবেশীর দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ, আমরা সামাজিক জীব। আমাদের জীবনে প্রতিবেশীর ভালোবাসার প্রয়োজন অপরিহার্য। যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর হক আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার হায়াতে বরকত দান করবেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, চরিত্র সুন্দর করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৫২৫৯)
এখানে তিনটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণের বিশেষ গুরুত্ব আছে। তিনটি বিষয় জীবনে শান্তি আনার ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব রাখে।
Leave a Reply