আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যায় : তাওবা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক নবায়ন এবং সুদৃঢ়করণের নাম।
এর মাধ্যমে বান্দা তার রবের কাছে নিজ অক্ষমতা ও মুখাপেক্ষিতার সরল স্বীকারোক্তি দান করে। ফলে সে আল্লাহর অফুরন্ত ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি লাভ করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং তাদেরও ভালোবাসেন যারা পবিত্র থাকে। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২২)
পাপগুলো পুণ্যে রূপান্তরিত হয় : তাওবা দ্বারা শুধু বান্দার গুনাহই মাফ হয় না; তার গুনাহসমূহ নেকিতে রূপান্তর হয়ে যায়। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহসমূহ নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। ’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭০)
জান্নাত লাভ : মহান আল্লাহ তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের তাওবার বিনিময়ে জান্নাত দান করার ওয়াদা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো—খাঁটি তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। ’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৮)
দুশ্চিন্তা দূর হয় : তাওবা ও ইস্তেগফার দ্বারা দুশ্চিন্তা দূর হয়, বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এবং রিজিক বৃদ্ধি পায়। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন, সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১৫১৮)
ধনসম্পদে বরকত হয় : তাওবার পার্থিব উপকারিতা বর্ণনায় আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয় তিনি মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন এবং তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতিতে। আর তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা। ’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
এই আয়াতগুলোতে তাওবার যে উপকারিতাগুলো বলা হয়েছে, এর সবগুলো মানুষের পার্থিব উপকারিতা ও সুখময় জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সব ধরনের গুনাহ থেকে তাওবা করার তাওফিক দান করুন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও মুহাদ্দিস
Leave a Reply