সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী (সা.)

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, জুন ৯, ২০২২
  • 369 পাঠক

ফুজায়েল আহমাদ নাজমুল

———————–

মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) সর্বশেষ নবী। দুনিয়ার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব। কুরআন এবং মুসলিম উম্মাহই কেবল তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেয়নি, দিয়েছেন অমুসলিম মনীষীরাও।

‘মাইকেল হার্ট’ যিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচাইতে প্রভাবশালী একশত সেরা মনীষীর জীবনী লিখেছেন, তিনি সেই জীবনী তালিকায় প্রথমেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে স্থান দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “মুহাম্মদ (সা.) এর সাফল্যের মধ্যে জাগতিক ও ধর্মীয় উভয় বিধ প্রভাবের এক অতুলনীয় সংমিশ্রণ ঘটেছে। এজন্য সংগতভাবেই তাঁকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।” -(দ্যা হ্যান্ড্রেড)

সৌদিআরবের মক্কা নগরীতে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই রবিউল আউয়াল মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। দুনিয়ায় আসার পুর্বেই পিতা আব্দুল্লাহ মারা যান। আবার ছয় বছর বয়সে মা আমিনাও মারা যান। পিতা-মাতা উভয়কে হারিয়ে মহানবী (সা.) অসহায় ও এতিম হয়ে পড়েন। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি দাদা আবদুল মুত্তালিব এর আশ্রয়ে বড় হতে থাকেন। কিন্তু আট বছর বয়সে দাদাকেও হারান। এরপর চাচা আবু তালিবের স্নেহে লালিত পালিত হন।

বয়স যখন কৈশোরে তখন একটি সত্য ও সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে তিনি গঠন করেন ‘হিলফুল ফুযুল’ অর্থাৎ শান্তিসংঘ। হিলফুল ফুযুলের উদ্দেশ্য ছিল, আর্তমানবতার সেবা করা। অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করা। শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। গোত্রে গোত্রে সম্প্রীতি বজায় রাখা ইত্যাদি

মহানবী (সা.) -এর প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খুওয়াইলিদ কন্যা খাদিজা লোক মারফত মহানবী (সা.)-কে তাঁর ব্যবসায়ে নিযুক্ত করার প্রস্তাব করেন। চাচা আবু তালিবের সাথে আলোচনা করে মহানবী (সা.) তাতে রাজী হলেন। সততা ও চারিত্রিক মাধুর্যতা দেখে মক্কার সম্পদশালী মহিলা খাদিজা (রা:) নিজ ব্যবসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মহানবী (সা.) এর ওপর অর্পন করেন। অতি কম সময়ে খাদিজার ব্যবসা পরিচালনায় মহানবী (সা.) সততার অনন্য নজির স্থাপন করেন।

খাদিজা মহানবী (সা.) এর বিশ্বস্ততা ও কর্মদক্ষতায় অভিভূত হন। মুগ্ধ হন। তারপরই খাদিজা নিজেই মহানবী (সা.) এর সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। চাচা আবু তালিবের সম্মতিতে খাদিজার সঙ্গে মহানবী (সা.) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়। এ সময় তাঁর বয়স পচিশ বছর হলেও খাদিজার বয়স ছিল চল্লিশ বছর।
নবুয়ত প্রাপ্তির সময় খুব কাছাকাছি।

মহানবী (সা.) যেন পূর্বাপেক্ষা আরও বেশী নির্জনতাপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এসময় তাঁর বয়স চল্লিশ বছর পূর্ণ হয়ে যায়। হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় একাধারে কয়েকদিন আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। হঠাৎ এক রাতে জিবরাইল (আ:) তাঁর কাছে ওহী নিয়ে আসেন। জিবরাইল (আ:) কুরআনের আয়াত পাঠ করে শুনালেন- “ পড় তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। ” তখন তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন।

নবুওয়ত পেয়ে মহানবী (সা.) মানুষদের আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার দাওয়াত দেন। এতে মূর্তিপূজারী লোকজন তাঁর দাওয়াতের বিরোধিতা শুরু করে। তাঁর ওপর নানারকম নির্যাতন চালাতে থাকে। তারা মহানবী (সা.)-কে সমাজের নেতা বানানোর প্রলোভন দেখায়। ধন-সম্পদের লোভ দেখায়।

মহানবী (সা.) তাদের বলেন, “আমার এক হাতে সূর্য ও অন্য হাতে চাঁদ এনে দিলেও আমি ইসলাম প্রচার থেকে বিরত হবো না। মহানবী (সা.) এর ওপর মক্কার কাফেররা ভীষণ ক্ষেপে ওঠে। অত্যাচার শুরু করে। তাঁর সাথে করে দুর্ব্যবহার। তাদের দুর্ব্যবহারে মহানবী (সা.) অনেক কষ্ট পান।

একসময় জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে তিনি মদীনায় চলে যান। মদীনাকে ইসলাম প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। তিনি সেখানে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলমান, খ্রিস্টান, ইহুদিসহ সব স¤প্রদায়ের লোকের পরস্পরের মধ্যে শান্তি, স¤প্রীতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ‘মদীনা সনদ’ সম্পাদন করেন। এ মদীনা সনদই ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত চুক্তি বা সংবিধান। এ সনদের ফলে মুসলমান আর অমুসলমানদের মধ্যে এক অপূর্ব সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

মদীনায় যাওয়ার আট বছর পর অর্থাৎ অষ্টম হিজরির রামাদ্বান মাসে দশ হাজার সাহাবী নিয়ে মহানবী (সা.) আবার নিজের জন্মভূমি মক্কায় ফিরে আসেন। মহানবী (সা.) এর বিশাল সৈন্যবাহিনী দেখে মক্কার অমুসলিমরা ভীষণ ভয় পায়। প্রতিরোধ করার সাহস তারা হারিয়ে ফেলে।

মহানবী (সা.)-কে যারা তিলে তিলে কষ্ট দিয়েছে, জানে মেরে ফেলতে চেয়েছে, প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে এবং স্বদেশ ত্যাগ করার পরও স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। মক্কা বিজয়ের দিন ইচ্ছা করলে মহানবী (সা.) প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। ভীতসন্ত্রস্ত কোরায়েশদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তোমরা সকলেই মুক্ত।

আজ তোমাদের প্রতি কোন কঠোরতা নেই। নেই কোন প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ স্পৃহা। তোমাদের সকলকে ক্ষমা করে দিলাম। মহানবী সা. এর অনুপম আচরণ ও অপূর্ব দুর্ধর্ষ আরব কোরায়েশদের পাষাণ হৃদয় মুহুর্তে দ্রবীভূত হয়ে যায়। চারিদিকে আকাশে বাতাশে ধ্বনিত হয় “ মারহাবা ইয়া রাসূলুল্লাহ- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। ”

ইসলামের বিজয়, বিস্তার এবং সমগ্র আরবের একত্রিকরণে মক্কা বিজয়ের প্রয়োজনীয়তা ছিলো অপরিহার্য। জয়ের সমস্ত ইতিহাসে মক্কা বিজয় ছিলো অতুলনীয়। মক্কা বিজয় ছিলো রক্তপাতহীন এক মহাবিজয়। এ বিজয়ে কোন হানাহানি, ধ্বংস বা বিভীষিকা নয়, এ বিজয় ছিলো প্রেম, ক্ষমা, মহত্ত ও পুণ্যের। মক্কা বিজয়ের পর ইসলামের কাজ দ্রুত প্রসার লাভ করে। মহানবী (সা.) এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন গোত্র থেকে দলে দলে মানুষ ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হতে থাকে।

জীবনের সকল দিকে মহানবী (সা.) ছিলেন সর্বগুণে সুন্দরতম। তাঁর নেতৃত্ব ছিল সহজাত, ব্যক্তিত্ব ছিলো বরেণ্য, আচার-আচরণ ছিলো অনন্য অনুপম। মহানবী (সা.) ছিলেন মানবতার বন্ধু। সবসময় তিনি মানুষের কল্যাণ কামনা করতেন। মানুষের ক্ষতি ও কষ্ট দেখলে তাঁর হৃদয় কেদে ওঠতো। মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতেন। মানুষের দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দিতেন। তাঁকে যারা কষ্ট দিতো তাদের সবাইকে তিনি ক্ষমা করে দিতেন। এজন্যেই তো কুরআনে তাঁকে ‘রাহমাতুল লিল আ’লামীন’ বা জগতবাসীর জন্য ‘রহমত’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মহানবী (সা.) শৈশব থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কখনো মিথ্যা কথা বলেননি। তিনি ছিলেন অনাবিল সত্যবাদী ও সত্যের বাহক। মিথ্যাকে বিনাশ করা আর সত্যকে সমুন্নত করাই ছিলো তাঁর জীবনের অন্যতম মিশন। তিনি সর্বপ্রকার বিপদে আপদে ধৈর্য ধারণ করতেন।

বিপদ, মুসিবত, দুঃখ কষ্ট, অত্যাচার নির্যাতন, ক্ষুধা, দারিদ্র, অভাব অনটন, মানুষের দেয়া জ্বালা যন্ত্রণা সবই তিনি অকাতরে সইতে পারতেন। কোন কিছুই তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গতে পারতো না।

এককথায়, মহানবী (সা.) এর সামাজিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক জীবন ছিলো একেবারে স্বচ্ছ, ঝকঝকে তকতকে অনাবিল। তাঁর স্ত্রীরা সবাই তাঁর স্বচ্ছতার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। পরিবারের গোলাম ও সেবকসহ সকলেই তাঁর অনাবিল সুন্দর চরিত্র, মধুর ব্যবহার এবং দয়া ও সহানুভূতির দ্বারা পরম মুগ্ধ ছিলেন। আট বছর বয়স থেকে প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আনাস (রা:) তাঁর সেবক হিসেবে ছিলেন। তিনি দশ বছর মহানবী (সা.) এর সেবা করেন।

তিনি বলেন, মহানবী (সা.) কখনো আমাকে ধমক দেননি। কখনো বলেননি এমনটি করলে কেন? অমনটি করলে না কেন? তিনি কখনো কাউকে মারেননি। নির্যাতন করেননি। তাড়িয়ে দেননি। অপমান করেননি। অনাদর করেননি। কারো সাথে রুঢ় আচরণ করেননি। অমায়িক ব্যবহারে ঘর এবং বাহিরের সবাই ছিলো তাঁর প্রতি চুম্বকের মতো আকৃষ্ট ও মুগ্ধ।

হযরত আনাস (রা:) আরো বলেন, মহানবী (সা.) কখনো কাউকেও অশ্লীল-অশালীন কথা বলতেন না। অভিশাপ দিতেন না এবং গালাগাল করতেন না। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে শুধু এতটুকু বলতেন: তার কি হলো, তার কপাল ধুলোমলিন হোক! -(সহীহ বুখারী)

মহানবী (সা.) নারী, পুরুষ ও শিশুসহ যার সাথেই দেখা হতো, তাকেই তিনি সালাম দিতেন। নিজেই আগে সালাম দেয়ার চেষ্টা করতেন। কেউ তাঁকে আগে সালাম দিয়ে দিলে উত্তমভাবে তার জবাব দিতেন।

হযরত আনাস (রা:) বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন সবচেয়ে ভদ্র কোমল ও অমায়িক মানুষ। তিনি সবার সাথে মিলেমিশে থাকতেন। সবার সাংসারিক খোঁজ খবর নিতেন। শিশু কিশোরদের সাথে হাস্যরস করতেন। শিশুদের আদর করে কোলে তুলে বসাতেন।

ছোটবড় সকলের দাওয়াত তিনি কবুল করতেন। দূরে হলেও রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজ খবর নিতেন। তিনি মানুষের ওযর কবুল করতেন। -(মিশকাত)
মহানবী (সা.) বাজে এবং অনর্থক কথা বলতেন না। প্রয়োজনীয় কথা বলতেন। অর্থবহ কথা বলতেন এবং কম কথা বলতেন। দীর্ঘ সময় কথা না বলে নীরব থাকতেন। জাবির ইবনে সামুরা (রা:) বলেছেন, মহানবী মুহাম্মাদ (স:) দীর্ঘ সময় ধরে নীরব থাকতেন। -(মিশকাত)

মহানবী (সা.) আল্লাহকে ভয় করতেন। নামাযে কাদতেঁন। তাঁর কান্নার শব্দ অন্যরা শুনতে পেতো। কুরআন পড়া শুনলে তাঁর হৃদয় মোমের মতো গলে যেতো। তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তো।

মহানবী (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। দরিদ্রদের দান করো। বড়দের সম্মান করো। ছোটদের স্নেহ করো। স্ত্রীর সাথে সুন্দর ব্যবহার করো। মানুষকে কষ্ট দিয়ো না। কারো প্রতি জুলুম করো না। বিশ্বাসঘাতকতা করো না। অশ্লীল কাজ করো না। লোভ লালসায় মত্ত হয়ো না। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। আমানতের খেয়ানত করো না।

মহানবী (সা.) দশম হিজরীতে হজ্জ্ব পালন করেন। এটা ছিল তাঁর জীবনের শেষ হজ্জ্ব। শেষ হজ্জ্ব ইসলামের ইতিহাসে হুজ্জাতুল বিদা বা বিদায় হজ্জ্ব নামে অভিহিত। বিদায় হজ্জ্বে উপস্থিত লক্ষাধিক অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে মহানবী (সা.) এক মর্মস্পর্শী ভাষণ দেন। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয় কুরআনুল কারীমের শেষ বাণী।

আল্লাহ বলেন, “ আমি আজ তোমাদের ধর্মকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং আমার নি’য়ামত তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকে তোমাদের জন্যে জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম।’ -(সুরা আল-মায়িদা, আয়াত: ০৩)

৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যুলহাজ্জ্ব মাসে বিদায় হজ্জ্বের পর ২৯ সফর মহানবী (সা.) মাথাব্যথা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। মহানবী (সা.) আজ নেই। তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী। আর কোন নবী আসবেন না। তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন দু’টি মুল্যবান জিনিস। একটি হলো কুরআন আর অপরটি হলো সুন্নাহ। এই দু’টিকে শক্ত করে আকড়ে ধরার তাগিদ রয়েছে ইসলামে।

আজকের সময়ে যাদের জীবনে কুরআন ও সুন্নাহর প্রভাব রয়েছে তারা হচ্ছেন সমাজের মণিমুক্তা। তাদের জীবন সৌন্দর্যে প্রতিফলিত হয় আল্লাহর দ্বীনের আদর্শ। ইসলামী জীবন প্রণালী, রীতিনীতি, আদব কায়দা ও আচার আচরণে তারা হয় মূর্ত প্রতীক। তাদের ভদ্রতা, শিষ্টাচার, কর্মপন্থা ও কর্মনীতি বিমুগ্ধ করে তোলে সমাজের মানুষকে। তাদের অনাবিল পরিচ্ছন্ন জীবনধারা মানুষকে আকৃষ্ট করে আল্লাহর পথে।

মহানবী (সা.) এর রেখে যাওয়া কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমাদের জীবন পরিচালিত হোক এই তাওফিক কামনা করছি মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে।

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!