দিশারী ডেস্ক। ৮ সেপ্টেম্বর ,২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
ড.মুহাম্মদ ইউনুসের বিষয য়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। এ বিষয়টি নিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে দর কষাকষিতে বেশি ব্যস্ত। এজন্যই তারা বিভিন্ন রকম তৎপরতা চালাচ্ছে।
শুধুমাত্র সরকারের সাথে দেন দরবার নয়, ইউনূস ইস্যুতে সরকারকে রীতিমতো হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রচ্ছন্নভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, যদি শেষ পর্যন্ত ইউনূসকে দণ্ডিত করা হয় এবং দ্রুত বিচার করে ‘ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি’ করা হয় সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে।
গত ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ভিসা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে তাতে নির্বাচনের পাশাপাশি আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, এবং মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে।’
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত এরকম ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় অন্তত ২৪ জনের নাম রয়েছে, যারা এই বিচার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধাপে যুক্ত আছেন বা ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তারা এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি তাদের ভিসা থাকলেও তাদের ভিসা বাতিল বাতিল করা হবে’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ পাচারের একটি তদন্ত চলছে। এই তদন্তের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের যারা যুক্ত তাদের ব্যাপারেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আনার চিন্তা ভাবনা চলছে।
তবে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে নানা মুখী আলাপ আলোচনা আছে। কারণ ঘটনা ঘটার আগেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় কিনা সেটিও প্রশ্ন সাপেক্ষের ব্যাপার।
তবে বিভিন্ন কূটনীতিকরা বলছেন, তারা যদি মনে করে যে ন্যায় বিচার হবে না এবং বিচারিক প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ তাহলে বিচারের মাঝপথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি প্রয়োগ করতে পারে।’
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের বিরোধী দলের নেতা অং শান সুচির বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছিল এবং সেখানে মিয়ানমারের একাধিক জেনারেল, বিচারক এবং কৌশুলের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আর সেরকম অভিজ্ঞতার আলোকে বিচার প্রক্রিয়ার মাঝপথেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলাপ আলোচনা চলছে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো ড. ইউনুসের বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। তারা এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছে। তারা মনে করে যে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ একটি ঐক্য মতে পৌঁছাতে পারবে।
Leave a Reply