ঈমানের জন্য যেসব কাজ ক্ষতিকর

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
  • 256 পাঠক

আহমাদ রাইদ ।১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।

কিছু বিশ্বাস ও কাজ এমন আছে, যেগুলো কোনো ঈমানদানকে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়। নিম্নে সে বিষয়ে বর্ণনা করা হলো—
কোনো কিছুকে কুলক্ষণ মনে করা : কোনো বস্তু বা অবস্থা থেকে কুলক্ষণ গ্রহণ করা বা কোনো সময়, দিন বা মাসকে অমঙ্গল মনে করা ভ্রান্ত বিশ্বাস। কোরআন-হাদিসে প্রমাণিত নয়—এরূপ কোনো লক্ষণে বিশ্বাস করা ভ্রান্ত বিশ্বাস। (বুখারি, হাদিস : ৫৭১৭)।

পীর সাহেবকে বা মাজারে সিজদা করা : পীর সাহেব বা মাজারকে উদ্দেশ্য করে সিজদা বা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানানো কুফরি কাজ। (ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া ৬/৩৩৩)।

পর্দা নিয়ে উপহাস করা : শরিয়তে যেসব বিধান অকাট্যভাবে প্রমাণিত বা ধর্মের সর্বজনবিদিত আবশ্যকীয় বিষয়, পর্দার বিধানও তার অন্তর্ভুক্ত। তা নিয়ে উপহাস করা কুফরি। (রদ্দুল মুহতার ৪/২২৩)।

দাড়ি-টুপি নিয়ে উপহাস : দাড়ি-টুপির উপহাস করা মূলত নবী (সা.)-এর সুন্নত নিয়ে উপহাস। তাই উপহাসকারী ঈমানহারা হয়ে যাবে।
( ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া ৬/৩৩৭)।

আলেমদের অপমান ও অবজ্ঞা করা : ইলমের কারণে বা দ্বিনের ধারক-বাহক হওয়ায় উলামায়ে কেরামকে হেয়প্রতিপন্ন করা বা কটাক্ষ করা কুফরি। হ্যাঁ, পার্থিব বিষয়ে তাদের কারো কোনো ব্যক্তিগত কর্মের কারণে কটাক্ষ করার দ্বারা কাফের হবে না। (বাহরুর রায়েক : ৫/১২৩)

কোরআনের অবমাননা কুফরি : কোরআন শরিফের অবমাননা করা বা পুড়িয়ে ফেলা বা ছিঁড়ে ফেলা স্পষ্ট কুফরি। (আল-বাহরুর রায়েক : ৫/১২০)।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ছবি ও ব্যঙ্গচিত্র আঁকা : রাসুলে করিম (সা.)-এর অবমাননা যেকোনোভাবেই করা—মুখে হোক কিংবা ছবি এঁকে হোক কুফরি, বিশেষত নবীজি (সা.)-এর ছবি আঁকাও প্রকাশ্য নবীদ্রোহিতা।

সুতরাং এ ধরনের রাসুলদ্রোহীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দায়িত্বশীলদের ওপর ফরজ। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৩৮৬)।

নবুয়তের দাবি করা : মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী, তারপর আর কেউ নবী হবে না—এ কথার ওপর ঈমান রাখতেই হবে। যদি কেউ আল্লাহর ওপর ঈমান আনে কিন্তু নবী করিম (সা.)-কে শেষ নবী হিসেবে না মানে সে কাফির। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪০)।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!