নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী। ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
নোয়াখালী শহরের বিভিন্ন নামীদামি দোকান-পাট, হোটেল, রেস্তোঁরা ও মার্কেট পরকিয়াপ্রেমিদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সূত্র জানায়, এসব নামীদামি দোকান-পাট, হোটেল, রেস্তোঁরা ও মার্কেটে দিন ও রাতের কোন না কোন সময়ে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ আড্ডা জমিয়ে সময় পার করছে।
এক দোকানী জানান, মোবাইলে এসব নারী, পুরুষ পরিচয় করতে গিয়ে নিজেদের প্রকৃত জীবন আড়াল করছেন। বিবাহিতরা নিজেকে অবিবাহিত বলে সম্পর্ক গড়ছেন। ওই দোকানী জানান, এসব কারণে ইতোমধ্যে অনেকের সংসারেও আগুন লেগেছে। ভুক্তভোগী একজন অভিভাবক জানান, এ শহরের একটি নামীদামি মার্কেটের এক দোকানীর ফাঁদে পড়ে তাঁর মেয়ের সংসার জীবন তছনছ হয়ে গেছে। তিনি জানান, ওই দোকানী নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে তার মেয়েকে অন্য সংসার থেকে ভাগিয়ে নেয়। একপর্যায়ে, মেয়েটি এখন বুঝতে পারছেন ওই দোকানীর আরেকটি সংসার রয়েছে। ওই সংসারে তার দু’টি বাচ্চাও রয়েছে।
এছাড়া কোন সভ্য, সুস্থ্য মানুষ এসব নারী, পুরুষের অবাধ চলাফেরা ও দৃষ্টিকটুতায় পরম নিরানন্দ হচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পরবর্তী প্রজন্ম ও সন্তান, সন্ততির ভবিষ্যৎ নিয়েও বিষন্নতা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, এসব দোকান-পাটে, রাস্তা-ঘাটে এসে তাদের সন্তানরা তো সুশিক্ষা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেনা। তারা এসব অবাধ জীবনধারা দেখে এক ভিন্ন সংস্কৃতিকে নিজস্ব জীবনধারায় গেঁথে নেবেন। যে কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যক্তি জীবনের ধর্মীয় চর্চাবোধ ও সমাজজীবনের নৈতিকতা অচিরেই বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
জানা গেছে, অনেক কর্মজীবি ও প্রবাসীর স্ত্রী কেনাকাটার নামে ঘর থেকে বেরিয়ে এসব হোটেল, রেঁস্তোরা ও মার্কেটের অলিগলিতে আড্ডা জমান। এ তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবিরাও।
তাছাড়া শহরের বেশ কিছু আবাসিক হোটেলও রীতিমতো পতিতালয়ের কারখানায় পরিণত হওয়ার অভিযোগ করেছেন সমাজ সচেতনরা। বলেছেন, এক শ্রেণির যুবক, যুবতি নিজেরা স্বামী, স্ত্রী না হওয়ার পরেও নিজেদের স্বামী, স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে বা কোন কোন বিনোদনস্থলে অসামাজিক জীবনধারায় লিপ্ত হচ্ছেন।
এছাড়া শহরের অনেক বাসা, বাড়িতেও এক শ্রেণীর যুবক-যুবতিরা ভাড়াটে হয়ে অসামাজিক জীবন পার করার অভিয়োগ রয়েছে।
এ বিষয়ে একজন আইনজীবি বলেন, যতদিন না আমাদের নিজেদের মধ্যে প্রকৃত ও নৈতিক শিক্ষার বোধদয়টুকু স্থায়িত্ব না পাবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা একটি সুস্থ্যধারার জীবনের চিন্তা করেও লাভ হবেনা। নিজেকে আগে নৈতিকভাবে বদলে যেতে হবে, তবেই সমাজ বদলে যাবে।
Leave a Reply