মানুষ এই সরকারকে ধাওয়া করবে : জোনায়েদ সাকি

  • আপডেট সময় রবিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
  • 59 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।

মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের প্রতি যাদের দায়বোধ আছে তাঁরা আগামী ৭ তারিখে ভোট দিতে যাবে না। সরকার আবারও ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে জানিয়ে আসন্ন এই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনিসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

রোববার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে পারে না। যাদের দেশের প্রতি দায়বোধ আছে তারা আগামী ৭ তারিখে ভোট দিতে যাবে না। ঐক্যবদ্ধ হোন, রাজপথের দখল নিন। তারা তফসিল, নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য হবে। মানুষ এই সরকারকে ধাওয়া করবে।

বাংলাদেশ আজকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম খুনের দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৪০ লাখ নেতা-কর্মীদের নামে মামলা। দুনিয়ায় আমাদের পরিচয় দাঁড়িয়েছে গুম, খুন, ভোটের অধিকার নাই এমন একটা দেশে। এই পরিচয় তৈরি করেছে এই জালিম সরকার, জনগণের এখানে কোনো দায় নেই।’

মানবাধিকার কমিশন ও পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশে যে একটা মানবাধিকার কমিশন আছে তা দেশে অনেকেই জানে না। আমাদের পয়সায় তারা এসি রুমে চাকরি করেন কিন্তু তাদের যেটা দায়িত্ব মানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়া সেটার কোনো খবর নেই। পুলিশবাহিনী মানুষ বিপদে পড়লে পাওয়া যায় না, কিন্তু যখন অধিকারের জন্য দাঁড়ায় তখন শত শত পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এত বড় জালিমের শাসক পৃথিবীর আর কোথাও নেই। উন্নয়নের কথা বলে, কী উন্নয়ন হয়েছে ? ধনীদের আয় বেড়েছে ৫০ গুন আর গরিবের জন্য পেঁয়াজ আড়াই শ টাকা।

তিনি আরও বলেন, নৌকা এখন ভাসে না, নৌকায় এখন লুটের চাল। নৌকা এখন জনগণের নৌকা নেই। ভোটের প্রচারণা হবে না। নির্বাচন হবে না। কিন্তু ৭ তারিখ সন্ধ্যেয় ফলাফল ঘোষণা হবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্র, মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তাদের না পেলে তাদের বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তানদের গ্রেপ্তার করছে। সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে ভাই-ব্রাদার মিলে ৭ জানুয়ারি প্রীতি নির্বাচনের আয়োজন করেছে। এই আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ১৮ সালে ডাকাতির নির্বাচন করে সারা বিশ্বের সামনে আমাদের মুখে চুনকালি মেখেছে।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে অসংখ্য মানুষকে খুন, গুম করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মানবাধিকার কমিশন কোনো কথা বলে না। এই কমিশন, অন্ধ, বোবা, খোঁড়া।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আয়োজন করা হচ্ছে। এখানে নৌকা মার্কা, ডামি নৌকা মার্কা, স্বতন্ত্র নৌকা মার্কা, ১৪ দলের নৌকা মার্কা, জাতীয় পার্টির নৌকা মার্কার নির্বাচন হচ্ছে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘ শাজাহান ওমরকে মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠাল। তারপর তিনি যখন নৌকা মার্কায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলেন আর কোনো মামলা তখন কাজ করল না। এই নির্বাচন দেশের জনগণ মানে না। আমরা রক্ত দিয়ে হলেও এই নির্বাচন প্রতিহত করব।’

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!