দুঃখিত, শ্রদ্ধেয় ব্যারিষ্টার খোকন ভাই

  • আপডেট সময় রবিবার, এপ্রিল ২১, ২০২৪
  • 55 পাঠক
আকাশ মো. জসিম । ২১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।
বিএনপির হালকালের একজন কৃর্তিমান রাজনীতিক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের মাননীয় সভাপতি , ব্যারিষ্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকাকালেই পরিচয় হয়েছিল।
একদিন নোয়াখালী আইনজীবি সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিএনপির এক সভা শেষে তাঁর ছোট্র একটি পুরোনো ধাচের প্রাইভেট কারে ওঠে সোজা জেলা শহরের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক আজকের উপমায় নিয়ে গেলাম। আজকের উপমা কার্যালয়ে তাঁর পদ, পরিচয়, পরবর্তী রাজনৈতিক লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক কথোপকথন হয়েছে। সে সময়টার কথা আজকের উপমার প্রিয় সম্পাদক, জনাব পলাশ চৌধুরীরও হয়তোবা মনে আছে।
এরপর লক্ষ্য করছিলাম, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবি, রাজনীতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ তাঁকে তরতর করে সিঁড়িতে ওঠাতে লাগলেন।
একদিন বিকেলে মতিঝিলের ইসলাম চেম্বারে দেখা। আমার সাথে আমার এলাকার বিএনপি নেতা মাষ্টার সফিকও ছিলেন। মওদুদ সাহেবের চেম্বারের মধ্য কামরায় বিএনপির সে সময়ের মহাসচিব, জনাব আবদুল মান্নান ভূইয়া, জনাব এম কে আনোয়ার, খুলনার বিএনপির এক শীর্ষ নেতাসহ রাজনৈতিক বিষয়াদী নিয়ে আলোচনা চলছিল। আমরা সামনেই বসা। সেদিন খোকন সাহেবকে দেখলাম, শ্রদ্ধেয় ব্যারিষ্টার মওদুদের সামনে বসতেও সাহস পেতেননা। ( শিষ্টাচার নাকি স্বার্থান্বেষী স্বভাবের স্বাভাবিকতা জানা নেই ! )
একপর্যায়ের দিনগুলোয় জনাব মওদুদই তাঁকে নের্তৃত্বে কর্তৃত্ববান করাতে উদগ্রীব হলেন। এমনকি শ্রদ্ধেয় মাহবুবুর রহমান ( সাবেক এমপি), এডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরান ( সাবেক এমপি) রাও রাগে, ক্ষোভে, মনের কষ্টে , মান-অভিমান করে হয়তোবা বিএনপি থেকেও সরে গেলেন। নয়তোবা সরিয়ে দিলেন ?
এরপর ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের বাড়িহারার ঘটনা কিংবা মৃত্যুর পর একজন ব্যক্তি খোকন সাহেবকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের যে চরিত্র আর চিত্রটা আশা করেছিলাম, তা আর হলোনা। নুন্যতমও না। এ বছর ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের প্রথম মৃতু্্যবার্ষিকীটাই তাঁর কোন স্মরনীয় রোজনামচা, স্মৃতিচারণ সভা, এমনকি কবর জেয়ারতটা পর্যন্ত চোখে পড়লোনা।
সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবি বলেছেন, খোকন সাহেবরা নিচক স্বার্থের জন্যে সবই করতে পারেন ? আজ দলের স্বার্থে যেমন সরিয়ে দেয়া হলো তাঁকে।
তিনি এখন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব না। তিনি নন আইনজীবি ফোরামেরও দায়িত্বশীল নেতা। তবুও সব ভুল স্বীকার করে একটি সুন্দর, দায়িত্বশীল, সুশৃঙ্খল রাজনীতির আগামীর মসৃণ পথ পুনরুদ্ধারের স্বপ্নে তিনিও দলে ফিরে আসবেন নিশ্চয়। দলও তাঁকে ফিরিয়ে নেবেন অবশ্যই।
ভাল থাকবেন, শ্রদ্ধেয় খোকন ভাই।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!