দিশারী ডেস্ক। ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
নোয়াখালীর ছোট বড় খালগুলো দখলে-দূষণ-ভরাটে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। খালগুলোতে প্রকাশ্যে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। কোথাও কোথাও এসব দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। তাছাড়া কিছু খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে শুরু হয়েছে খালকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া।
খোদ নোয়াখালী খাল, মন্নান নগর-ছেউয়াখালী খালসহ নোয়াখালীর সোনাপুর-চরবাটা খালের একবৃহদাংশই দখল হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে জেলায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ খালে কিছুদিন আগে কিছু অংশে সংস্কার করা হলেও তা মাঝপথে থেমে যায়।
এছাড়া নোয়াখালী খাল থেকে বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে নষ্ট হচ্ছে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ও পরিবেশ। বাড়ি-ঘর, জমি বিলীনের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন পাশ্ববর্তী মানুষ। বিষয়গুলোকে খালের বৈশিষ্ট্যের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদরা। তারা মনে করেন, এর সমাধান খালকে তার মতো চলতে দেয়া। অবৈধদের উচ্ছেদ করে খালের জায়গা খালকে ফিরিয়ে দেয়া।
সম্প্রতি নোয়াখালী শহরের পৌর বাজার এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ছাগলমারা খাল দখল করে বহুতল ভবন করেছেন কতেক প্রভাবশালী। যদিও এ বিষয়ে পৌর মেয়র বলেছেন, খালের মধ্যে সে যে হোক কোন দখলদারকে মেনে নেয়া হবেনা। তিনি বলেছেন, প্রয়োজন হলে আমরা ভবন ভেঙে খালের জায়গা দখলে নেবো।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা আইনজীবি সমিতির একজন বিশিষ্ট আইনজীবি জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, কয়েক বছর আগেও খালের জায়গা দখল করা হয়েছিল। পরে সেসব ১/১১ সরকারকালে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর বাজার এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, জেলা শহরের কিছু লোক প্রভাবশালী বিধায় তাদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অনেকে কথা বলতেই সাহস পাচ্ছেন না।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, নোয়াখালীর অন্যতম প্রধান খাল নোয়াখালী। দীর্ঘদিন ধরে এই খাল দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নোয়াখালীর এক নেতা বলেন, এবার আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক বলেন, নোয়াখালীর ছোট-বড় খালগুলোর দখল পুনরুদ্ধারে আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে উদ্যোগ নিতে বলেছি।
Leave a Reply