মাইজদী-সোনাপুরের সিএনজিতে যাত্রী সেজে ছিনতাই ?

  • আপডেট সময় বুধবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
  • 111 পাঠক

—————————————-

নোয়াখালীর সড়ক

—————————————

দিশারী ডেস্ক। ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

নোয়াখালীর সোনাপুর-মাইজদী সড়কে একশ্রেণীর সিএনজিচালক ও সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীচক্রের ফাঁদে সর্বস্ব হারাচ্ছে নিরীহ যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। গত ক’মাস ধরে একের পর এক ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের যাত্রী ও সাধারণ মানুষ নানাভাবে হয়রানির শিকার হলেও এ পর্যন্ত কোন প্রতিকার হয়নি সেসব প্রতারকচক্র ও সিএনজিচালকদের সংঘটিত অপরাধ।

জানা গেছে, মাত্র কিছুদিন আগে জেলা শহরের মাইজদী হতে সোনাপুর যাওয়ার পথে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক যাত্রীবাহী সিএনজিতে ওঠছিলেন। এ সময় সিএনজিতে যাত্রী সেজে থাকা ছিনতাইকারীরা তাঁকে সিএনজির মধ্যখানে বসিয়ে একপর্যায়ে চলন্ত গাড়ীতে অস্ত্র দেখিয়ে দামি মোবাইল ও নগদ ৪ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীরা ওই সাংবাদিককে দত্তবাড়ি মোড়ের উত্তরে রহমানিয়া বিস্কুট কারখানার রাস্তায় নামিয়ে ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীসহ কেহকে জানাতে বারণ করেন।

এ ঘটনার কিছুদিন আগে একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার এক কর্মীও দত্তেরহাট হতে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিতে ওঠেছিলেন। একপর্যায়ে, চলন্ত গাড়িতে তাকে ভয় দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণের গয়না নিয়ে যায়।

২৩ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, দিনের সাড়ে বারোটার দিকে জেলা শহরের মাইজদী টাউন হল মোড় হতে সিএনজিতে ওঠছিলেন ভাটিরটেক এলাকার গিয়াস উদ্দিন মিয়া। সিএনজিতে যাত্রী সেজে বসে থাকা ছিনতাইকারীরা তাকে গাড়ির মধ্যখানে বসিয়ে দেন। এরপর গিয়াস উদ্দিন মাইজদী বাজার নেমে গেলে পকেটে থাকা মোবাইল ও নগদ ৩ হাজার টাকার আর কোন কিনারাই পাননি। তিনি জানান, এ চক্রের অন্যতম হোঁতা একশ্রেণীর সিএনজিচালকেরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জেলার আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নোয়াখালীতে কেন ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাড়ছে, সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা নেই বলে জানান একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এসব অপরাধ নিয়ে তেমন কোন গবেষণা নেই, তাই সুনির্দিষ্ট করে কারণ বলা যাচ্ছে না। এসব অপরাধ বাড়ার পেছনে সমাজ ও রাজনীতির বহু কারণ থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ ধরনের অপরাধ বাড়ার পেছনে জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ অনেক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি বলেন, সামাজিক কারণগুলো ছাড়াও অপরাধের মাত্রা ও ধরন কমিয়ে আনতে পুলিশ সময় দিতে পারে না। পুলিশ রাজনৈতিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন কাজে বেশি ব্যস্ত থাকে। যার ফলে অপরাধের ধরন ও সংখ্যা দুটিই সার্বিকভাবে বেড়ে যায়।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!