দিশারী ডেস্ক। ০৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু, হাদিস, ৬১৪৮; তাবরানি, হাদিস, ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস, ২৭২৮)।
ইসলামে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় না। ইসলামী শরিয়তে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হয় এছাড়া বিয়ে ও সংসার জীবন বিশুদ্ধ হয় না। তাই বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে।
এর দলিল হিসেবে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস উল্লেখ করেন। আল্লাহর রাসুল বলেন, لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ‘ অভিভাবকের অনুমতি ও দুজন সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ হবে না।’ (সুনানে দারাকুতনী ৩/১৯০)।
যারা বিয়েতে সাক্ষী থাকবেন তাদের বেশ কিছু গুণ থাকতে হবে। এসব গুণাবলী না থাকলে কেউ বিয়ের অভিভাবক হতে পারবে না। বিয়ের সাক্ষীদের যেসব গুণ থাকতে হয়। তাহলো-
১. সুস্থমস্তিষ্কের হওয়া। ২. মুসলমান হওয়া। ৩. শ্রবণশক্তি সম্পন্ন হওয়া। ৪. বালেগ হওয়া। ৫. দুইজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী হওয়া।৬. সত্যবাদী হওয়া।
(রদ্দুল মুহতার ৩/২১, মাবসূত সারাখসী ৫/৩১, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৬৭)।
Leave a Reply