স্বাগত রমজানুল মোবারক

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, মার্চ ১২, ২০২৪
  • 67 পাঠক

————————————————

রহমত, বরকত ও নাজাত 

————————————————-

দিশারী ডেস্ক । ১২ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

রহমত, বরকত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আবার এলো রমজান। খোশ আমদেদ মাহে রমজানুল মোবারক। ধনী-গরিব, ছোট-বড়, আরব-অনারব সবার ঘরে মুক্তির বার্তা নিয়ে আগমন ঘটে পবিত্র রমজান মাসের।

পবিত্র এ মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুমিন-মুসলমানরা তাদের ঈমানি চেতনাকে জাগ্রত করে এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর নিবেদিত বান্দা হওয়ার সুযোগ লাভ করে। আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাস—পবিত্র রমজানুল মোবারক।

ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান সাওম বা রোজা পালন। রমজান মাস হলো ইবাদতের মৌসুম এবং আমলের স্বর্ণক্ষণ। এ মাসের প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি মুহূর্ত প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রহমত, বরকত ও নামাজের বার্তামণ্ডিত।

পবিত্র এ মাসের আগমনকে স্বাগত জানায় মুমিন-মুসলমানের হৃদয়। আকাশে রমজানের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অন্তরে শুকরিয়া জ্ঞাপনের পাশাপাশি মুখে বলা উচিত—খোশ আমদেদ মাহে রমজানুল মোবারক।

ইমাম গাজালি (রহ.) তাঁর এহয়াউল উলুম গ্রন্থে রমজান মাসের রহমতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, রোজাদার বান্দা যখন নিদ্রা যান, তখন তার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের বদৌলতে আল্লাহর তাসবিহ পাঠের প্রতিদান লাভ করেন। এ ছাড়া সাহরি, ইফতার, তারাবির নামাজ, তেলাওয়াতে কোরআন, তাসবিহ-তাহলিল এবং অপরাপর ইবাদত-বন্দেগিতেও অন্য মাসের চেয়ে ৭০ গুণ পর্যন্ত সাওয়াব বাড়ানো হয়।

পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) ।

এ মাসের এ আমলের মূল দীক্ষা হলো তাকওয়া অর্জন। আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলীয়ান হওয়া। এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি ও আমল যেভাবে জারি রাখা উচিত ; তেমনি উচিত গিবত, শেকায়েত, পরনিন্দা, পরচর্চা পরিহার করা। আর এটাই রোজার প্রকৃত দীক্ষা।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রমজান আসে, তখন বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। আর দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শিকল পরিয়ে দেয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ৩২৭৭; মুসলিম, হাদিস : ১০৭৯)।

সুতরাং ইবাদতের স্বর্ণমৌসুম এ মাসকে স্বাগত জানাতে হবে। আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের প্রথমে রমজানকে স্বাগত জানাতে হবে। সব পাপ-গুনাহ থেকে তওবা করার মাধ্যমে এ মাসকে স্বাগত জানাতে হবে। সব ধরনের জুলুম-অন্যায় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রমজানকে স্বাগত জানাতে হবে।

যাদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এ মাসকে স্বাগত জানাতে হবে। ভালো কাজের মাধ্যমে রমজানকে স্বাগত জানাতে হবে।

আসুন, জাগতিক সব ধরনের মন্দ ত্যাগের মাধ্যমে এ মাসকে স্বাগত জানাই।

 

 

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!