ঘুষ বা উৎকাচ আসে হাদিয়া বা উপহারের রূপ ধারণ করে।
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ । ২১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
কোনো ক্ষমতাধর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য যা কিছু প্রদান করা হয়, তাকে ঘুষ বা উৎকাচ বলা হয়। কারো কারো মতে, অন্যায়ভাবে কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠা বা বাতিল করার নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অর্থ বা অন্য কিছু প্রদান করাকে ঘুষ বলে।
কেউ কেউ বলেন, ঘুষ হচ্ছে স্বাভাবিক ও বৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থের ওপর অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা। একেক প্রতিষ্ঠানে একেক নামে এটি পরিচিত।
ঘুষ বা উৎকাচ আসে হাদিয়া বা উপহারের রূপ ধারণ করে।
আর খিয়ানতকারীকে মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না।
অর্থাৎ মজলুমের দোয়া ব্যর্থ হয় না। তা ছাড়া কিয়ামতের দিন অন্যের সম্পদ ভক্ষণকারী জালিমের কাছ থেকে তার নেকি হতে মজলুমের বদলা পরিশোধ করা হবে।
ঘুষখোররা ইবাদত ও দান-খয়রাত করেও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত : রাসুলুল্লাহ (সা.) দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত, ধুলা মলিন এলোকেশে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, সে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করছে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম। আর তার দেহও হারাম উপার্জন দ্বারা গঠিত। তার প্রার্থনা কবুল হবে কিভাবে? (তিরমিজি, হাদিস : ২৯৮৯)
অর্থাৎ হারাম ভক্ষণ করায় তার প্রার্থনা কবুল হবে না, যদিও মুসাফিরের প্রার্থনা সাধারণত কবুল হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৩৬)
নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিলে তার বিধান : যে ব্যক্তি নিজের কোনো ন্যায্য প্রাপ্য জিনিস বা অধিকার আদায়ের জন্য নিরুপায় হয়ে ঘুষ দেয় এবং কারো জুলুম থেকে বাঁচার জন্য অনন্যোপায় হয়ে ঘুষ দেয়, তার ওপর অভিসম্পাত পতিত হবে না। তবু এমন পরিস্থিতিতে ঘুষ দেওয়ার সুযোগ থাকলেও না দেওয়াই উত্তম।
ঘুষ থেকে বাঁচার উপায় : ঘুষ থেকে বাঁচার উপায় হলো পরকালের ভয়, সম্পদের লোভ বর্জন, আল্লাহভীতি, পার্থিব শাস্তির ব্যবস্থা ও গণসচেতনতা।
Leave a Reply