মো: তাওহীদুল হক চৌধুরী : জেলার মাইজদীতে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঈদ পুনর্মিলনী ও মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান করা হয়েছে। (১৭ মে) সোমবার সকালে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের নোয়াখালী সদর সার্ভিসিং সেল অফিসে এই ঈদ পুনর্মিলনী ও মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান করা হয়।
————————————————————
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স
————————————————————-
প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর শামছুল ইসলাম হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিস্টিক কো-অর্ডিনেটর বোরহান উদ্দিন, ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর ইমাম হোসেন, ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলীসহ প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দ।
পরে প্রতিষ্ঠানের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আবদুল গফুর রাজু বীমা গ্রাহক নীহার চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী মায়া রানী ভৌমিকের হাতে হস্তান্তর করেন ।
উল্লেখ্য , নোয়াখালীর সদর উপজেলার বাসিন্দা স্বর্গীয় নীহার চন্দ্র ভৌমিক প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে ২ লাখ টাকার বীমা অংকের একটি পলিসিতে মাত্র ১২ হাজার টাকা জমা দেয়ার পর স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। এ পলিসির বীমাদাবি ছিলো ২ লাখ টাকা।
করোনাকালীন সংকটময় সময়ে মৃত্যুদাবীর ২লাখ টাকার চেক পেয়ে এসময় নীহার চন্দ্র ভৌমিকের মনোনীতক মায়া রানী ভৌমিক কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সংশ্লিষ্ট কর্মী, কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নীহার চন্দ্র ভৌমিকের মৃত্যুদাবী প্রদানে সংশ্লিষ্ট বীমা কর্মী ফিরোজ কামাল দুলাল জানান, ২০১৪ সালে প্রগতি লাইফের বর্তমান রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আবদুল গফুর রাজু স্যারের হাত ধরে মানবতার কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয়ে আমি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কাজ শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি একটি পরিবারের হাতে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হিসেবে ২লাখ টাকার মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তর করতে পেরেছি।
এ বিষয়ে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, নোয়াখালী সদর সার্ভিসিং সেল অফিসের ইনচার্জ, প্রতিষ্ঠানের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আবদুল গফুর রাজু জানান, প্রতিনিয়ত দেশের কোন না কোন অঞ্চলে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গ্রাহকদের মাঝে দ্রুততার ভিত্তিতে সার্ভাইবাল বেনিফিট, বোনাস, মেয়াদ পূর্তি, দুর্ঘটনায় প্রাপ্তিসহ মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান করে যাচ্ছেন।
গ্রাহকের যে কোন দাবী প্রদানে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে অনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। ঈদের পর আজ প্রথম প্রতিষ্ঠানের অফিস সংশ্লিষ্টদের ঈদ পুনর্মিলনীতে আসতে বলেছি, তারা এসেছে। তাই একই অনুষ্ঠানের ভেতরে মৃত্যুদাবীর চেকটি প্রদান করেছি। কেবল মৃত্যুদাবীর চেকটি প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।
ঈদ পুনর্মিলনী ও চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশতাধিক উন্নয়ন কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply