নিজস্ব প্রতিনিধি
—————
অনেকের কাছে তিনি শিক্ষক নেতা। তবে আদৌতে নেতা না হলেও শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা লুফে নিতে দালাল হিসেবে এ শিক্ষকের পদচারণা সর্বাগ্রে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাহীন জীবনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এ শিক্ষক বিদ্যালয় চলাকালেও নিয়মিত শ্রেণী কক্ষে থাকতেননা। এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানোয় তার স্বভাব। তাছাড়া, তিনি একজন তদবিরবাজ। অনেক শিক্ষিকার হয়ে বদলিসহ নানা তদবির তালাসিতেও তার নাম সবার চেনা।
স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, তিনি চারিত্রিকভাবে একজন মুখোশধারী ভদ্রজন। ভাবসাব এমন যেন তিনি চরম সচ্চরিত্রের অধিকারী। কিন্তু, আদৌতে ভন্ডামী। জেলা শহরে একেকদিন একেকজন সহকারী শিক্ষিকাকে নিয়ে কখনো সুপার মার্কেটের রেস্তোঁরায়, কখনো রাজমহলের দোতলা, কখনো অন্যহোটেলে ওঠতে নামতে প্রায় দেখা মেলে তার।
জানা যায়, কতেক শিক্ষিকাকে নিয়ে কক্স্রবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগও রয়েছে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে জেলা শহরের রাজমহলে একজন শিক্ষিকার সাথে যথেচ্ছ আড্ডা শেষে একপর্যায়ে দু’জনই শাররিক দুরত্ব বজায় রেখে এমনভাবে বের হলেন, যেন কেউ কাউকে চেনেনইনা। অথচ, ভেতরের অঙ্গিভঙ্গিমাটা হোটেল বয় ও এ প্রতিনিধিরও চোখে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এ শিক্ষকের ঘরে বউ, বাচ্চা সবই আছে। কিন্তু, তবুও চরিত্রের ঘর ছেড়ে পরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোয় তার স্বভাব।
Leave a Reply