কোটি কোটি টাকার সরকারী ভূমি ফের দখল

  • আপডেট সময় সোমবার, মে ২৪, ২০২১
  • 674 পাঠক

——————————–

জেলা পরিষদের সাইনবোর্ড উদাও !

——————————-

নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : জেলা শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা জামে মসজিদ-সার্কিট হাউজ সড়কের পাশে নোয়াখালী জেলা পরিষদের জন্যে নির্ধারিত থাকা এক একর বিশ শতক সরকারী ভূমি প্রকাশ্য দিবালোকে বেহাত হতে চলছে।

সরকারী হিসেবে এ ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।

ইতোপূর্বে, এ জমিতে জেলা পরিষদ ভবনের জন্যে বরাদ্ধ লিখা সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও রাতের আঁধারে  উদাও করে নিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। অবশ্য এমন ঘটনাা জানা নেই খোদ গণপূর্ত বিভাগ কিংবা জেলা পরিষদের কারো।

শুধু তাই নয়, এ জায়গায় গণপূর্তের লাখ লাখ টাকার ব্যয়ে নির্মিত গেট হতে গণপূর্ত বিভাগ নামটিও মুছে ফেলা হয়েছে।

এক সময় এ ভূমিতে সরকারীভাবে নির্মিত ঘরে ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কাজ চলছিল। বিগত ক’বছর আগে এ দপ্তরটি এখান থেকে নিজেদের কার্যক্রম ঘুটিয়ে নেয়। ফলে পরিত্যক্তরুপী ঘরটির এক কিয়দাংশ জেলা আইনজীবির সদস্যরা দখল করে নিয়েছে।

আবার, আইনজীবি সমিতি এ ঘর রাতারাতি দখলে নিয়ে ভাড়াও দিয়েছেন অন্যত্র। কতেকাংশে সমিতির কতেক সদস্য চেম্বার হিসেবেও ব্যবহার করছেন।

একজন আইনজীাবর অন্যত্র চেম্বার থাকার পরেও তিনি জায়গাটি দখলে নিয়ে ৮০ ফুট লম্বা আকারের একটি মার্কেট করেছেন। যা তিনি পত্রিকার নামে নামখাওয়াস্ত কার্যালয়সহ স্বনামে বেনামে দখলে রেখেছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষদিকে সরকারের এ বিপুল অংকের মূল্যমানের জায়গাটি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

সে সময় আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ বি এম জাকারিয়াসহ নের্তৃবৃন্দ নিজ দায়িত্বে এ ভূমি হতে দখল সরিয়ে নেয়ার শর্তে সময় নিলেও পরবর্তীতে সমিতি তা আর কার্যকর করেননি। বরং দিনের পর দিন ফের দখল আরো পাকাপোক্ত করেছেন।

অবশ্য সমিতির নের্তৃবৃন্দ দাবি করছেন, তারা জায়গাটি বন্দোবস্ত পেতে আবেদন করেছেন। তবে তার আগে দখল প্রশ্নে কোন কথা বলতে রাজি হননি তারা।

স্থানীয়রা বলেন, ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসনের কঠিন পদক্ষেপে দখলদাররা নিজেদের নিমার্ন করা ঘরগুলো নিজনিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিয়েছিল। করোনাকালের অজুহাত ও জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের বদলির পরই তারা আবার দখলে ফিরতে শুরু করেছে।

জেলা পরিষদের নামে সাইনবোর্ড ঘায়েল হওয়া বিষয়ে চেয়ারম্যান এ বি এম জাফর উল্যাহ বলেন, সাইনবোর্ড সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, আইনজীবিরা বেআইনীভাবে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের এ জায়গাটি দখলে নিয়ে ঘর করছে। এটি সরকার জেলা পরিষদের নামে বরাদ্ধ দিয়েছে। আমার সাথে জেলা প্রশাসনের কথা হয়েছে। আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নেবো।

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাছান বলেন, জায়গাটি জেলা পরিষদের জন্যে বরাদ্ধ করা। তিনি বলেন, দখলদাররা যেই হোক সরকারের প্রয়োজনে সরকার তা অবশ্যই রক্ষা করবে।

জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খাঁন বলেন, এ জায়গায় সাইনবোর্ড সিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি ইতোপূর্বে কেউ জানাইনি। তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!