কলকাতায় জয়া : জানি না, সামনে আরও কেমন দিন আসছে ’

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৬, ২০২২
  • 612 পাঠক
বিনোদন ডেস্ক
————-
করোনার ঢেউ যত দ্রুত ধেয়ে আসছে, ততোধিক গতিতে হাতের কাজগুলো সারছেন জয়া আহসান তথা টলিউড। এই অভিনেত্রী টানা ব্যস্ত আছেন বঙ্গভঙ্গের উত্তাল সময় নিয়ে টলিউডের সৌকর্য ঘোষালের ‘কালান্তর- বঙ্গভঙ্গের বিপ্লবী যুগ’-এর শুটিংয়ে। কারণ, ডে-লকডাউনের আগেই কাজটি শেষ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জয়া আহসান কলকাতা থেকে বলেন, ‘টানা সকাল-বিকাল পাগলের মতো শুট করছি। ঘরে ঢুকতে হচ্ছে রাত ৯টার মধ্যেই। ৯টার পর কলকাতা এখন কারবালার মতো। সব বন্ধ। কারফিউ টাইপ। জানি না, সামনে আরও কেমন দিন আসছে।’

কলকাতা এখন কারবালা : জয়া

এদিকে অস্থিরতার কথাগুলো যখন বলছেন, তখন তিনি বেশ স্থির। ‘কালান্তর’ থেকে পেয়েছেন বুধ ও বৃহস্পতি- ছুটি! এটুক প্রাপ্তিতেই মহা খুশি এই অনন্যা। বললেন, ‘গতকাল ও আজ (৫ ও ৬ জানুয়ারি) গ্যাপ পেলাম শুটিং-ছুট থেকে। টানা দুটো দিন বাসায় চিল করলাম। নিজেকে নিজেই ট্রিট দিলাম। বিছানায় গড়াগড়ি আর আলসেমি করলাম মনভরে। বন্ধু মুনমুনকে নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে শীতের সবজি রান্না করলাম। খেলাম। এখন রিচার্জ লাগছে।’

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) থেকে ফের জয়ার শুটিং-ছুট শুরু। ভোর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এভাবে চলবে বেশ ক’দিন। যদিও এই ছুটে জয়াকে ভালোই ভোগাচ্ছে শীত। তার ভাষায়, ‘ঢাকার চেয়ে এখানে প্রচণ্ড শীত। খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমার বাসাটাও খুব ঠাণ্ডা। গরমে আরাম করলেও শীতে একেবারে জমে যাই। ঠাণ্ডা আমি সহ্যই করতে পারি না! রোজ রোজ সাতসকালে শুটিংয়ে যাওয়া, খুব কষ্ট। দুটো দিন সেই কষ্ট থেকে বাঁচলাম।

কলকাতা এখন কারবালা : জয়া

সেই আনন্দে জয়া আহসান তার ভক্তদের নেটমাধ্যমে পাঠালেন উষ্ণ-বার্তা! ভেরিফায়েড পেইজে প্রকাশ করলেন কফির পেয়ালা হাতে চারটি রোদপোহানো ছবি! জানান, এই ছবিগুলো আগেই তুলেছেন। এবার প্রকাশ করেছেন ছুটির আনন্দে, ঠাণ্ডাটাকে ভুলিয়ে দিতে।

জানুয়ারির শেষদিকে ঢাকায় ফিরবেন জয়া। ফের উড়াল দেবেন ‘সাদা আমি কালো আমি’ নামের ওয়েব সিরিজের ডাকে। ষাটের দশকের নকশাল আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে এই সিরিজ নির্মাণ করছেন ভারতীয় পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। যাতে জয়ার বিপরীতে থাকছেন বলিউডের মনোজ বাজপেয়ী।

এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হলো জয়ার পৃথিবী জয়ের নতুন যাত্রা। এদিন থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। তিনি মূলত, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।

জয়া আহসান বলেন, ‘ইউএনডিপির মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো, এই ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার জন্য যেই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি নামে পরিচিত) নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্জন করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করবো, যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।’

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!