—————
ঘুষ এখন সমাজের রন্ধ্রে বন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, চারিত্রিকসনদ থেকে শুরু করে মৃত্যুসনদ করতেও ঘুষ দিতে হয়। হাসপাতালে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষের মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ক্ষেত্রে বিনা কারণে ঘুষ দিতে হয়। উঁচু থেকে নিচু শ্রেণি— কেউ বাদ নেই ঘুষ দেয়া-নেয়ায়। কেউ ১০ টাকা ঘুষ খায় কেউ আবার ১০ কোটি টাকা।
এই অখাদ্য আর অকল্যাণকর বস্তুটাকেই আমরা খাদ্য আর কল্যাণের আসনে বসিয়েছি। দেখা যায়, আমরা পরস্পরকে ঘুষ আদান-প্রদানে সহযোগিতা করি।
ঘুষ দিতে ও নিতে উৎসাহিত করি। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টম্যান্ট আগে পাওয়ার জন্য টাকা অফার করি। আমরা এসব করে কেবলই পাপ বৃদ্ধি করছি। পরস্পরকে গুনাহের দিকে আহ্বান করছি।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একে-অপরকে গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনে সাহায্য করো না।’ (সুরা মায়িদা : ২)
ঘুষদাতা ও গ্রহীতার ওপর আল্লাহর রাসুল (সা.) অভিশম্পাত করেছেন। এই অবৈধ কাজের জন্য আখেরাতে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দুনিয়াতে সন্তান, টাকাকড়িতে বরকত নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ, ঘুষের টাকা হারাম। যার চূড়ান্ত পরিণাম জাহান্নামের কঠিন শাস্তি।
Leave a Reply