আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব

  • আপডেট সময় শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২
  • 283 পাঠক

মুফতি আতাউর রহমান

————————–

মহান আল্লাহর সৃষ্টি হিসেবে মানুষের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হলো তাঁর স্রষ্টার পরিচয় জানা। আর আল্লাহর পরিচয় লাভের ওপর নির্ভর করছে ব্যক্তির ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্য। এই সাফল্যের কথাই ব্যক্ত হয়েছে মহানবী (সা.)-এর হাদিসে। তিনি বলেন, ‘যে এমন অবস্থায় মারা গেল যে সে জানে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।

সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬)আর পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। ক্ষমা প্রার্থনা কোরো তোমার এবং মুমিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্য। আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি এবং অবস্থান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। ’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ১৯)

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যা লেখেন, ‘আল্লাহর একত্ববাদের জ্ঞান লাভ করা একটি স্বতন্ত্র ও সত্তাগত আদিষ্ট বিষয়। যদিও এটা মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে এক আল্লাহর ইবাদত করাও অপরিহার্য। উভয় বিষয়ে বান্দা আদিষ্ট। আল্লাহর পরিচয় লাভের অর্থ হলো তাঁর নাম, গুণাবলি, কাজ ও বিধান সম্পর্কে জানা। ইবাদতের অর্থ হলো নির্দেশ ও নির্দেশনা মোতাবেক ইবাদত করা। ’ (মিফতাহু দারুস সাআদাহ : ১/১৭৮)

যেহেতু বান্দার মুক্তি ও সাফল্য আল্লাহর পরিচয় লাভের ওপর নির্ভর করে, তাই সব নবী ও রাসুল (আ.) মানুষকে আল্লাহর পরিচয় দান করেছেন এবং তাদের পরিচয় লাভের পথে আহ্বান করেছেন। বিশেষত মহানবী (সা.) এই আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লামা আবুল হাসান আশআরি (রহ.) বলেন, ‘আলেমরা এ বিষয়ে একমত যে নবী (সা.) সমগ্র সৃষ্টি জগেক আল্লাহর পরিচয় লাভের আহ্বান জানিয়েছেন। ’ (রিসালাতুন ইলা আহলিস সুগার, পৃষ্ঠা ১৫৪)

আর যারা আল্লাহ ও তাঁর পরিচয় লাভের ব্যাপারে বিমুখ থাকে, তাদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘বোলো, আমি কি তোমাদের সংবাদ দেব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের? তারা হলো সেসব মানুষ, পার্থিব জীবনে যাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তারা মনে করে যে তারা সৎকাজই করছে। ’ (সুরা কাহফ, আয়াত : ১০৩-১০৪)

পবিত্র কোরআনের কমপক্ষে তিন শ আয়াতে পরিচয় লাভ ও তাঁর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। ’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ১৯)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক। ’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪০)

আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য কোরো। ’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ১০১)

আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া|

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!