কোনো বিষয়ে খুব অস্থির হওয়া মুমিনের জন্য সমীচীন নয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না; বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। নামাজে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাতের সঙ্গে নামাজ যতটুকু পাও আদায় করো, আর যা ছুটে গেছে, পরে তা পূর্ণ করে নাও। ’ (বুখারি, হাদিস : ৯০৮)এমনকি ইসলামে সংকটের সময়ও প্রশান্তচিত্তে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তা মোকাবেলা করার চেষ্টা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে মহান আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়। যেমন আমাদের নবীজি (সা.) হিজরতের কঠিন সময়ে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করেছিলেন, মহান আল্লাহ তাঁকে আসমানি সাহায্য পাঠিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছেন, যখন কাফিররা তাকে বের করে দিল, সে ছিল দুজনের দ্বিতীয়জন। যখন তারা উভয়ে পাহাড়ের একটি গুহায় অবস্থান করছিল, সে তার সঙ্গীকে বলল, ‘তুমি চিন্তিত হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। ’ অতঃপর আল্লাহ তার ওপর তাঁর পক্ষ থেকে প্রশান্তি নাজিল করলেন এবং তাকে এমন এক সৈন্য বাহিনী দ্বারা সাহায্য করলেন, যাদের তোমরা দেখোনি এবং তিনি কাফিরদের বাণী অতি নিচু করে দিলেন। আর আল্লাহর বাণীই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)
তাই আমাদের উচিত, যেকোনো পরিস্থিতিকে দৃঢ়তা, স্থিরতা, সতর্কতা ও প্রশান্তচিত্তে মোকাবেলা করার চেষ্টা করা। মহান আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
Leave a Reply