বরং অহংকার হচ্ছে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা এবং অন্যকে হীন, ক্ষীণ, দুর্বল ভাবা এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। এমনটিই বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ওই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে। ’
এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, নিশ্চয়ই একজন মানুষ পছন্দ করে যে তার পোশাক সুন্দর হোক এবং তার জুতা সুন্দর হোক। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালোবাসেন। অহংকার হচ্ছে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা ও অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করা। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১৬৬; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৯৯)
আলোচ্য হাদিস সিহাহ সিত্তার মধ্যে আবু দাউদ ও তিরমিজি শরিফেও এসেছে। এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম তিরমিজি (রহ.) লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তির অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমানও আছে ওই ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না’—শীর্ষক হাদিসের ব্যাখ্যায় একদল মুহাদ্দিস বলেন, সে জাহান্নামে স্থায়ী হবে না (আজাবের পর মুক্তি পাবে)। আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর সূত্রে নবী (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, ‘যার অন্তরে অনুপরিমাণ ঈমানও আছে তাকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে। ’
‘হে আমাদের রব, তুমি যে ব্যক্তিকে জাহান্নামে দাখিল করাবে তাকে তুমি অপমান করলে’—শীর্ষক আয়াতের ব্যাখ্যায় একদল তাবেঈন বলেন, যে ব্যক্তিকে তুমি চিরস্থায়ী জাহান্নামি করলে তাকে তুমি চরম অপমানিত করলে। আবু ঈসা (ইমাম তিরমিজি) বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহিহ গারিব।
Leave a Reply