আহমাদ রাইদ
১৫ মার্চ, ২০২৩
—————
ইরবাজ বিন সারিয়া (রা.) বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সঙ্গে নিয়ে সালাত আদায় করেন, অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে আমাদের উদ্দেশে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। তাতে চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হলো এবং অন্তরগুলো বিগলিত হলো। তখন এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, এ যেন কারো বিদায়ী ভাষণ! অতএব আপনি আমাদের কী নির্দেশনা দেবেন ? তিনি বলেন, আমি তোমাদের আল্লাহভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমির) একজন হাবশি দাস হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলিফাদের সুন্নত অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে থাকবে। সাবধান থাকবে প্রতিটি নবাবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নবাবিষ্কার হলো বিদআত এবং প্রতিটি বিদআত হলো ভ্রষ্টতা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬০৭)
শিক্ষা : আলোচ্য হাদিস থেকে কয়েকটি বিষয় জানা যায় :
১. সালাত আদায়ের পর মাঝেমধ্যে মুসল্লিদের দিকে তাকিয়ে কিছু উপদেশ দেয়া সুন্নত।
২. মানুষকে উপদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে আবেগঘন হওয়া এবং আবেগঘন করা বৈধ ; বরং এটি উপদেশ থেকে উপকৃত হতে সহায়ক।
৩. বিদায়কালে কিছু উপদেশ ও অসিয়ত করা ইসলামী শিষ্টাচারভুক্ত।
৪. নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির আনুগত্য ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. বিরোধ এড়িয়ে চলা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
৬. বিরোধের মীমাংসা করতে হবে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে।
৭. ইসলামের খলিফাদের রীতি-নীতি ও সিদ্ধান্তসমূহ ইসলামের অমূল্য দলিল। সেগুলো বিদআত নয়।
৮. দ্বিনের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করা নিষিদ্ধ।
৯. ইসলামের নামে নব-আবিষ্কৃত সব কিছু বিদআত হিসেবে পরিচিত।
১০. আর বিদআত দেখতে যত সুন্দর হোক না কেন, তা ভ্রষ্টতা।
মহান আল্লাহ আমাদের বোঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন।
Leave a Reply