রোজা রাখার ১৫টি ফজিলত

  • আপডেট সময় শনিবার, এপ্রিল ১, ২০২৩
  • 190 পাঠক

——————————————–

হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী

——————————————-

সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। যা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি। রোজা রাখার অসংখ্য ফজিলত কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে ১৫টি ফজিলত তুলে ধরা হলো-

১. রোজার প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, বান্দা একমাত্র আমার জন্য তার পানাহার ও কামাচার বর্জন করে । রোজা আমার জন্যই, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব । (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৪)
২. আল্লাহ তাআলা নিজের ওপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তাঁর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কেয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন। (মুসনাদে বাযযার, হাদিস : ১০৩৯)
৩. কেয়ামতের দিন রোজাদারদের জন্য একটি বিশেষ পানির হাউজ থাকবে, যেখানে রোজাদার ব্যতিত অন্য কারো আগমন ঘটবে না। (মুসনাদে বাযযার, হাদিস : ৮১১৫)

৪. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় একদিন রোজা রাখবে, পরে তার মৃত্যু হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৩২৪)
৫. জান্নাতে একটি স্পেশাল ফটক রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। সেই গেইট দিয়ে কেবল রোজাদারগণই প্রবেশ করতে পারবে । (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)
৬. রোজাদারগণ রাইয়ান নামক গেইট দিয়ে প্রবেশ করে জান্নাতের পানীয় পান করবে। তারপর থেকে আর কখনো তাঁরা পিপাসার্ত হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৫)

৭. রোজা জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল। আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজা হলো ঢাল। বান্দা এর দ্বারা নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৪৬৬৯)
৮. রোজা কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব! আমি তাকে খাদ্য ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, অতঃপর তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৬২৬)
৯. ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখলে পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ৩৮)

১০. ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে যেদিন সে মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। (নাসাঈ, হাদিস : ২৫১৮)
১১. রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধময়। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৪)১২. রোজাদারের জন্য স্পেশাল দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে; এক. যখন সে ইফতার করে তখন ইফতারের কারণে আনন্দ পায়। দুই. যখন সে তার রবের সাথে মিলিত হবে তখন তার রোজার (পুরস্কার লাভের) কারণে আনন্দিত হবে। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৪)

১৩. রোজাদারগণ পরকালে সিদ্দীকীন ও শহীদগণের দলভুক্ত হবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৪২৯)
১৪. ইফতারের সময় রোজাদার যদি দুআ করে, তাহলে তার দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (অর্থাৎ তার দুআ কবুল হয়)। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫৩)
১৫. রোজা অন্তরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩০৭০)

লেখক : শিক্ষার্থী বিন্নুরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, করাচি, পাকিস্তান।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!