১৫ আগস্ট , কিছু অজানা কথা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, আগস্ট ১৫, ২০২৩
  • 159 পাঠক

দিশারী ডেস্ক। ১৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫। সূর্যোদয়ের আগ মুহূর্তে মসজিদ থেকে যখন আজানের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের নিজ বাড়িতে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এক দল বিপথগামী সশস্ত্র ঘাতকের বুলেটের আঘাতে এদিন বঙ্গবন্ধুর নিকটাত্মীয়রাও শহীদ হন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও নেপথ্যের কুশীলব কারা–এর উত্তর মেলেনি ৪৮ বছরেও।

শোকের মাস আগস্ট এলেই প্রতিবছর নানা মহলে এ নিয়ে আলোচনা হয়– খুনিচক্রকে কারা কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। প্রশ্ন ওঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও সুবিধাভোগীদের কখনও চিহ্নিত করা হয়নি। তাদের খুঁজতে সরকারের উদ্যোগে গঠিত হয়নি জাতীয় কমিশনও।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের প্রথম অনুসন্ধান কমিশন গঠন করা হয় যুক্তরাজ্যে। সেই অনুসন্ধানও এগোয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় বিশিষ্টজনরা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। হত্যাকারী ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ড অনেকের অভিন্ন ইচ্ছার প্রতিফলন, যা পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন হয়েছে। কয়েকজন খুনির বিচার হলেও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার হয়নি। তাদের চিহ্নিত করতে কোনো উদ্যোগও নেয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান সময়সাপেক্ষ হলেও তা করা জরুরি। কেননা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সত্য উদ্ঘাটনের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। অনেকে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবাইকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করতেন। নিজের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ সুযোগই কাজে লাগিয়েছে খুনিচক্র। কেউ কেউ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে চাকরিচ্যুত ও পাকিস্তান ফেরত সামরিক কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেন। আবার কেউ কেউ তৎকালীন (১৯৭২-১৯৭৫) বামপন্থি রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকাকেও দায়ী করেছেন।

জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে কমিশন করা হবে। এই কমিশন প্রতিহিংসামূলক হবে না। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৩৫ বছর পর উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ২০১০ সালে ৫ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০২২ সালে আরও একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও সাজাপ্রাপ্ত কয়েকজন এখনও পলাতক। নৃশংস এই হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে গভীর ষড়যন্ত্রের কথা।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘ইতিহাসের এ নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞে প্রত্যক্ষ ভূমিকায় ছিল বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক, আর পরোক্ষ কুশীলবের ভূমিকায় ছিল ক্ষমতালোভী মেজর জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমদও (আর্টিলারি) তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে মেজর জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং এর পরবর্তী নানা ঘটনাপ্রবাহ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী-বিশ্লেষকদের লেখা অন্তত ২০টি গ্রন্থ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন সময় তাঁর নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রের আগাম তথ্য দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। বঙ্গবন্ধু নিজেও এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

তারপরেও ইতিহাসের নিষ্ঠুর কালো অধ্যায় ঠেকানো যায়নি। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে শহীদ হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁকে হত্যার পর খুনিচক্র রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ বেতারে হত্যার দায় স্বীকার করে সদম্ভ প্রচার করে। ১৫ আগস্ট সকালেই বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। জাতির উদ্দেশে তাঁর একটি ভাষণও বেতারে সম্প্রচার করা হয়।

ভারতের সাংবাদিক এএল খতিব তাঁর ‘হু কিল্ড মুজিব’ গ্রন্থে লিখেছেন– ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকালে রেডিও স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে মোশতাকের ভাষণের লিখিত কপি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান সফিউল্লাহ ভাষণের কপি পড়ে মোশতাকের প্রশংসা করেন। জবাবে মোশতাক বলেন, ‘আপনার কি মনে হয় এই ভাষণ একদিনে লেখা হয়েছে ?’ বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ ১৯৭৯ সালের ১৫ আগস্ট লন্ডনের গার্ডিয়ানে ‘মুজিব হত্যার আড়ালে লুক্কায়িত নেপথ্য’ প্রতিবেদনে লিখেছিলেন, মোশতাক গং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা করে। যুক্তরাষ্ট্র আগেই তা জানত।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরপরই প্রশ্ন ওঠেছিল বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও অন্যদের ভূমিকা নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সাহচর্যে ছিলেন এমন অনেকেই খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। দৃশ্যত নীরব ভূমিকা পালন করেন সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল কেএম সফিউল্লাহ।

তবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৯ দিনের মাথায় ২৪ আগস্ট সেনাপ্রধান সফিউল্লাহকে অবসরে পাঠিয়ে জিয়াউর রহমানকে চিফ অব আর্মি স্টাফ এবং খলিলুর রহমানকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ করা হয়। ব্রিগেডিয়ার এরশাদকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে করা হয় ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ। রাষ্ট্রপতি মোশতাকের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ পান আতাউল গনি ওসমানী।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের ভূমিকাও ছিল রহস্যে ঘেরা। কেউ কেউ হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংকে (আরএডব্লিউ) দায়ী করেন। এমন সব পরিস্থিতির মধ্যে খন্দকার মোশতাক সরকারের মন্ত্রিসভা মাত্র ৮৩ দিন স্থায়ী হয়। এ সময় খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে জারি করেন পৃথিবীর ইতিহাসে নিন্দনীয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ।

এরপর ঢাকায় কারাগারে ওই বছরের ৩ নভেম্বর সংঘটিত হয় দেশের ইতিহাসে নিষ্ঠুরতম আরেক হত্যাকাণ্ড। এদিন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচনের বিষয়ে ‘পনেরো আগস্টের নেপথ্য কুশীলব’ গ্রন্থের লেখক বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ইতিহাসের সত্য উদ্ঘাটনের জন্য শুধু ১৯৭৫ সাল বা আগস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের ভেতরকার চক্রান্ত থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যাকাণ্ড, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত অনুসন্ধান চালাতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও কয়েকটি বামপন্থি দলের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জানতে চাইলে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাঁরই সশস্ত্র বাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তারা। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে পাকিস্তানের আইএসআইসহ দেশি-বিদেশি চক্র। এখানে জাসদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জাসদ মোশতাক ও জিয়ার সরকারেরও বিরোধিতা করেছিল।

প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাকের দলে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরদিন ইত্তেফাকে লেখা হয়েছিল ‘প্রত্যুষে বেতারে এই ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া একটি আকাঙ্ক্ষিত সূর্যরাঙ্গা প্রভাত দেখিতে পায়।’

জানতে চাইলে মইনুল হোসেন বলেন, ‘ কাকা (বঙ্গবন্ধু) নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। খুনিচক্র সেই সুযোগ নিয়েছে। বামপন্থি দলগুলো খুনিদের জন্য সেই পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে। যারা কাকার সঙ্গে ছিলেন তাদের ভূমিকা ছিল চাটুকারের মতো। তবে এই হত্যাকাণ্ডে খন্দকার মোশতাক ও জিয়া জড়িত ছিলেন, এটা মনে হয় না। ভারত সরকারের না হোক, তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর পরিকল্পনা ছিল উপমহাদেশের একজন জনপ্রিয় নেতাকে ইন-অ্যাকটিভ করে দেয়া।’

১৯৭৪ সালের মে মাসে ভারত সফরে গেলে বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। ভারতীয় সাংবাদিক এএল খতিব ‘ হু কিল্ড মুজিব’ বইয়ে লিখেছেন, ‘ ইন্দিরা গান্ধী খুব স্পষ্ট ভাষায় শেখ মুজিবকে একাধিক বার জানিয়েছিলেন, তাঁর (বঙ্গবন্ধু) বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।’ বঙ্গবন্ধু এই সতর্কবার্তা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেননি।

তবে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে– এমন তথ্য বঙ্গবন্ধু নিজেই জানিয়েছিলেন খ্যাতনামা সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে। ‘ ইতিহাসের রক্তপলাশ– পনেরই আগস্ট পঁচাত্তর ’ গ্রন্থে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লিখেছেন– আমি তখন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলাম, ‘আপনি কি সত্যি সত্যি ভাবছেন, কেউ আপনাকে হত্যা করতে চায় ?’ বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘তুমি সাংবাদিক। তোমাকে একথা মুখ ফুটে বলতে হবে কেন? তুমি কি বুঝতে পার না, কারা আমাকে হত্যা করতে চায়।’

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ এমপি স্যার টমাস উইলিয়ামসের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশনের সদস্য ছিলেন আয়ারল্যান্ডের সাবেক মন্ত্রী ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শন ম্যাকব্রাইড, ব্রিটিশ এমপি জেফরি টমাস এবং ব্রিটিশ আইনবিদ অবরি রোজ। ওই কমিশন সদস্যদের ভিসা দেয়নি জিয়ার সরকার।

পরে ১৯৮২ সালের নভেম্বরে অনুসন্ধান কমিশনের প্রকাশিত ‘শেখ মুজিব মার্ডার ইনকোয়ারি: প্রিলিমিনারি’ বইয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও সামরিক অভ্যুত্থানে লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ এবং মেজর শরিফুল হক ডালিম নেতৃত্ব দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পর ওয়ারেন কমিশন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন হওয়া উচিত। সময় শেষ হয়নি। কারণ, কুশীলব অনেকেই বেঁচে আছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের খুঁজতে কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

 

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!