দিশারী ডেস্ক। ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার, ডামি সংসদ বাতিল, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিরোধসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালী জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ও আয়োজনে এক বিশাল কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে এ মিছিলের নের্তৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো.শাহজাহান।মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, বিএসসি।
মিছিলের অগ্রভাগের নেতৃর্ত্বে ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পিপি এডভোকেট আব্দুর রহমান। মিছিলে জেলা বিএনপি নেতা আবু নাছের, সলিম উল্যাহ বাহার হিরন, কামাক্ষ্য চন্দ্র দাস, ভিপি জসিম, ওমর ফারুক টপি, ভিপি পলাশ, মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নুরুল আমিন খান, ছাবের আহমেদ, মিজানুৃর রহমান, আজগর দুখু, নোমানসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারাও স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. শাহজাহান বলেন, যে দেশে সম্রাটরা শতশত কোটি টাকা পাচার করার পরেও তাদের জামিন হয়, সে দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ভুয়া ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামী সাজিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। তাঁকে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের এক টাকাও পাচার করেননি। বরং, বিদেশের টাকা এ দেশেই এসেছে। যেখানকার টাকা সেখানেই রয়েছে। তবুও শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করা এবং শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয়তায় তিনি বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে তাকে শেখ হাসিনার সরকার সাজা দিয়েছে।
মো. শাহজাহান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় কোন নির্বাচনে হেরেছেন বলে প্রমাণ নেই। বরং শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে বিএনপির তৃতীয় সারির নেতাদের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করেও পরাজিত হয়। সে কারণে শেখ হাসিনা আজ নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় ভোট দিতে ভয় পায়।
তিনি আরো বলেন, যে কোন স্বৈরাচারই যেতে চায়না। তবে যেতেই হয়। এ সরকারকেও যেতে হবে, ইনশাল্লাহ। কারণ সর্বশেষ নিজেরা নিজেরাই নির্বাচনের নামে খেলাধুলার তামসায় বুঝতে কষ্ট হয়নি যে, তাদের পায়ের নীচে মাটি নেই। তিনি বলেন, ২০১৪ আর ২০১৮ প্রায় ভোট কেন্দ্র কুকুর পাহারা দিয়েছে। এবার দেখছি , কুকুরও যেন তাদের ঘৃণা করে। অনেক কেন্দ্রে সে পাহারাও ছিলনা। এ দেশের কোন বিবেকবান মানুষই এখন আর রাজনীতির নামে আওয়ামী লীগের তামসাবাজিকে বুঝতে কষ্ট হয়না।
Leave a Reply