দিশারী ডেস্ক।। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।।
নোয়াখালী সদরের দাদপুরে রয়েছে আরেকজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সদু। এলাকার পশ্চিম বারাইপুরে বসতি তার। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী যুগে ঘুষের বিনিময়ে তাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ভুয়া সনদকে যোগ্যতা বানিয়ে তার ৪ পুত্র ও এক মেয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকুরি হয়েছে।
—————————————————————————————–
যদিও লক্ষীপুর জেলা স্কুলের শিক্ষক পরিচয়দানকারী সেলিম দাবি করছেন, তার বাবা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলছেন, তার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তবে কার অধীনে, কোথায়, সেসব পরিষ্কারভাবে জানাতে পারেননি তিনি। কিন্তু তার বাবার নামে গেজেট রয়েছে বলে বারবারই উল্লেখ করেন। এছাড়া কোটার কথা অস্বীকার করে তাদের প্রত্যেকে নিজের যোগ্যতায় চাকুরি হয়েছে বলে দাবি করছেন।
—————————————————————————————–
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা দাবি করছেন, এ এলাকায় নুরুল ইসলাম নামে কোন মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেননা। তারা জানান, তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এমনকি জীবদ্দশায় স্থানীয় কমান্ডার আলী আহম্মদ চেয়ারম্যান, মজিবল হকসহ দায়িত্বশীল মুক্তিযোদ্ধারাও বলেছেন, তিনি ভুয়া। তিনি কোনযুদ্ধেই শামিল ছিলেননা। তাকে সে সময়ে তারা দেখেনওনি। তারা বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে, বিভিন্ন ধরনের তদবির, তালাসী ও দলবাজির মাধ্যমে নুরুল ইসলাম সদু নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম ওঠিয়েছে।
তবে ভুয়া হলেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভুক্তি সনদই তার পরিবারের জন্যে হয়ে যায় আরেক গায়েবী সম্পদ যেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিজের ৫ পুত্রের মধ্যে মমিন নামের একজনের রেলওয়েতে চাকুরি হয়। জহিরের হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরে, সেলিম লক্ষীপুর জেলা স্কুলে, নিজাম টিকাকর্মী হিসেবে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তাঁর দু’ মেয়ের মধ্যে নাসরিনের চাকুরি হয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এছাড়া অভিযোগ ওঠেছে, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ব্যবহার করে বাড়ির আশে-পাশের লোকজনকেও অতিষ্ঠ করেছিলেন তিনি। মো. ফারুক, সহিদ মাষ্টার, সাহাব উদ্দিন, হোসেন আহমেদের স্ত্রী জোসনা আক্তার, রফিক উল্যাহ, জসিম ও রবুসহ অস্যংখ্য ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবরে এমন একটি অভিযোগ প্রেরণ করেছেন স্থানীয়রা।
যার একটি অনুলিপি আমাদের হাতে এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, তিনি স্বনামে-বেনামে দরখাস্ত দিয়ে বিভিন্ন সরকারী সংস্থার মাধ্যমে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানিও করেছিলেন।
এ বিষয়ে জেলার সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হককে ফোন দিলেও তা না ধরায় তাঁর মতামত প্রকাশ করা যায়নি।
Leave a Reply