ঘুষে বরবাদ পরকাল

  • আপডেট সময় রবিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
  • 408 পাঠক

রোকন ওসমান  

—————

ঘুষ এখন সমাজের রন্ধ্রে বন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, চারিত্রিকসনদ থেকে শুরু করে মৃত্যুসনদ করতেও ঘুষ দিতে হয়। হাসপাতালে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষের মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ক্ষেত্রে বিনা কারণে ঘুষ দিতে হয়। উঁচু থেকে নিচু শ্রেণি— কেউ বাদ নেই ঘুষ দেয়া-নেয়ায়। কেউ ১০ টাকা ঘুষ খায় কেউ আবার ১০ কোটি টাকা।

এই অখাদ্য আর অকল্যাণকর বস্তুটাকেই আমরা খাদ্য আর কল্যাণের আসনে বসিয়েছি। দেখা যায়, আমরা পরস্পরকে ঘুষ আদান-প্রদানে সহযোগিতা করি।

ঘুষ দিতে ও নিতে উৎসাহিত করি। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টম্যান্ট আগে পাওয়ার জন্য টাকা অফার করি। আমরা এসব করে কেবলই পাপ বৃদ্ধি করছি। পরস্পরকে গুনাহের দিকে আহ্বান করছি।

আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একে-অপরকে গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনে সাহায্য করো না।’ (সুরা মায়িদা : ২)

পৃথিবীর সব দেশে এই অবৈধ কাজের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবুও কি থেমে আছি? বরং সামান্য থেকে সামান্য কিছুর জন্যেও মানবিকতার আর সীমালঙ্ঘনের চরম অবনতি ঘটিয়ে যেকোনো উপায়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত আমরা। স্বার্থের জন্য অবৈধভাবে হাজার হাজার টাকা দেই, ভেঙে দেই হাজারো মেধাবীর স্বপ্ন।
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের সম্পদ গ্রাস করো না এবং জানা সত্ত্বেও অসৎ উপায়ে লোকের সম্পদ গ্রাস করার উদ্দেশে তা বিচারকের কাছে নিয়ে যেও না।’ (সুরা বাকারা : ১৮৮)

ঘুষদাতা ও গ্রহীতার ওপর আল্লাহর রাসুল (সা.) অভিশম্পাত করেছেন। এই অবৈধ কাজের জন্য আখেরাতে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দুনিয়াতে সন্তান, টাকাকড়িতে বরকত নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ, ঘুষের টাকা হারাম। যার চূড়ান্ত পরিণাম জাহান্নামের কঠিন শাস্তি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!