লজ্জাশীলতা শালীন জীবনযাপনে সহায়ক

  • আপডেট সময় সোমবার, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
  • 144 পাঠক

ধর্ম ডেস্ক, দৈনিক দিশারী

——————-
মানবচরিত্রের অন্যতম গুণ লজ্জাশীলতা। এটি কেবল একটি মানবিক বিষয়ই নয়। হাদিসের ভাষ্যে একে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ঈমানের ৭০টিরও বেশি শাখা রয়েছে; তন্মধ্যে সর্বাগ্রে হলো এই ঘোষণা, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; আর সর্বনিম্নে হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জা হলো ঈমানের একটি শাখা।’ (মুসলিম : হাদিস ৫১)।

লজ্জাশীলতা জান্নাত লাভের অন্যতম গুণ। হাদিসের ভাষ্যমতে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়, নির্লজ্জতা মানুষকে জাহান্নামের পথ দেখায়।

পবিত্র হাদিস শরিফে এসেছে, ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ, আর ঈমানের স্থান জান্নাত। পক্ষান্তরে নির্লজ্জতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম। (তিরমিজি, হাদিস ২০০৯)

ইসলামী নৈতিকতার যে সৌধ, লজ্জা হলো তার মূল ভিত্তি। যখন তা হারিয়ে যায়, তখন সবই হারিয়ে যায়। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি দ্বিনেরই একটি চরিত্র রয়েছে। ইসলামের মূল চরিত্র হলো লজ্জাশীলতা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৮১)

যারা লজ্জাশীলতার গুণ হারিয়ে ফেলে, তারা দ্বিন থেকে খুব সহজে দুরে সরে যায়। কারণ তখন তারা কোনো পাপ করতে দ্বিধাবোধ করে না; বরং পাপ করেই অহংকার বোধ করে। এ জন্যই হয়তো নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তুমি যখন নির্লজ্জ হয়ে পড়বে তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১২০)

এর বিপরীতে যার মাঝে লজ্জাশীলতা যতটুকু থাকে, সে কোনো অন্যায় করতে ততটাই সংকোচবোধ করে। ফলে সহজেই সে বেঁচে যায় বহু অন্যায় ও অসামাজিক কাজ থেকে। লজ্জাশীলতার কারণেই মন্দ কাজ পরিহার করে চলতে হয় সুন্দর ও ন্যায়ের পথে। প্রিয় নবী (সা.)-এর কী অর্থপূর্ণ সরল বাণী, ‘লজ্জাশীলতা কেবলই কল্যাণ নিয়ে আসে।’ (বুখারি, হাদিস ৬১১৭)

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নির্লজ্জতা ব্যক্তিকে ত্রুটিপূর্ণ করে। আর লাজুকতা তার শ্রী বৃদ্ধি করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৪)

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!