দিশারী ডেস্ক। ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
প্রতিশ্রুতির অনেক দিন পেরিয়েও ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে আজো চালু হয়নি নতুন দুটো আন্ত:নগর ট্রেন। নতুন আন্ত:নগর ট্রেনের নাম ‘ সুবর্ণচর এক্সপ্রেস ’ নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপ-সচিব তৌফিক ইমাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে চালুর জন্য নতুন আন্ত:নগর ট্রেন এর নাম ‘সুবর্ণচর এক্সপ্রেস’ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদন হয়েছে।
২০১৭ সালে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে রেলমন্ত্রীকে স্মারক লিপি প্রাদনের মাধ্যমে দু’টো নন স্টোপ চালুর বিষয় আন্দোলন শুরু করে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ বছর ধরে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, স্মারকলিপিসহ নানান কর্মসূচি চালিয়ে যান তারা।
২০২১ সালে নোয়াখালী জেলাতে ননস্টপ ট্রেন দেয়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রী নরুল ইসলাম সুজন প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি তাদের আন্দোলন আরো জোরদার করে। তারা একাধিকবার রেল মন্ত্রীর সাথে দেখা করেন।
পরবর্তীতে রেল সচিব, রেলের মহাপরিচালক এবং রেল মমন্ত্রনালয় সম্পর্কীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জেলার সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে আলাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম এইচ রহমান ফুয়াদ বলেন, আমরা কমিউনিটি আন্দোলনের মাধ্যমে ইতোপূর্বে ও নোয়াখালী জেলাবাসীর বেশ ক’টি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার বাস্তবায়ন করেছি। এটি তারই ধারাবাহিকতার অংশ। প্রাণের নোয়াখালীর জন্যে প্রতিটি অধিকার আদায়ে আমরা সবসময়ই কাজ করে যাবো।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের চিপ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বরক সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যাত্রী সাধারণের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণের নিমিত্তে ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে চায়না কোচ দ্বারা দুটো নতুন আন্ত;নগর ট্রেন পরিচালনা করা যেতে পারে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নতুন এ ট্রেনের নম্বর ৮১৭ ও ৮১৮। ১৪ কোচের নতুন এ ট্রেনে মোট আসন থাকবে ৬৭৯ টি। সপ্তাহের শুক্রবার এটি বন্ধ থাকবে। প্রস্তাবিত ট্রেনের সময়সূচিতে বলা হয়েছে, ৮১৭ নম্বর ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে ছাড়বে ২ টা ৩০ মিনিটে আর ঢাকা পৌঁছাবে ৮ টা ১০ মিনিটে। আর ৮১৮ নম্বর ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৮ টায় ও নোয়াখালী পৌঁছাবে ১ টা ৩০ মিনিটে।
প্রস্তাবিত স্টেশনের মধ্যে আছে ঢাকা বিমানবন্দর, নরসিংদী, ভৈরব বাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, কসবা, কুমিল্লা, লাকসাম, নাথের পেটুয়া, সোনাইমুড়ি, বজরা, চৌমুহনী ও মাইজদীকোট।
নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সাজ্জাদুল ইসলাম সোহেল বলেন, যেখানে নতুন ট্রেন চালুর কোন খবর নেই, সেখানে রাতের ট্রেনট্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ৪০ বছর নোয়াখালীবাসী নতুন ট্রেন হতে বঞ্চিত ; সেখানে নোয়াখালীবাসীর গরীবের ট্রেনখ্যাত দুইটা মেইল ট্রেন ডাউন ১২ নোয়াখালী এক্সপ্রেস এবং ১১ আপ ঢাকা এক্সপ্রেস যা এক দিন পর-পর চলে তাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সোহেল বলেন, সকালে সোনাপুর থেকে সমতট এক্সপ্রেস লাকসাম পর্যন্ত যায়, আবার বিকেলে লাকসাম থেকে সোনাপুর আসে। এটি লাকসামে গিয়ে সারাদিন পড়ে থাকে, এ ট্রেনটি আখাউড়া পর্যন্ত রুট বৃদ্ধি করার জোর দাবি জানান সাজ্জাদুল ইসলাম সোহেলসহ নোয়াখালীবাসী।
Leave a Reply