সোনাপুর-মাইজদীর ১০ টাকার সিএনজি ভাড়া এখন ২০!

  • আপডেট সময় রবিবার, মে ৯, ২০২১
  • 733 পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী :  নোয়াখালীর সরকারী সড়কে কথিত মালিক, শ্রমিক ও চালক কল্যাণ সমিতির পকেটে দৈনন্দিন চাঁদা দিয়ে সিএনজিগুলোকে চলতে হয়। এটি যেন কোন একটি অলিখিত কালাকানুনে পরিণত হয়েছে।

জেলা শহরের সোনাপুর হতে শুরু করে জেলার প্রতিটি স্থানের প্রধান সড়ক দখল করে স্ট্যান্ড করেছে এ চাঁদাবাজরা। এ কারণে সেসব স্থানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজটও প্রকট আকার ধারণ করে।

সরকারী সড়কে নিজেদের দৌরাত্ম্যে চাঁদা আদায়ের ধরণটি প্রকাশ্য হয়ে চললেও এনিয়ে কারো কোন ধরনের উচ্চ্যবাচ্য নেই। বরং, বিষয়টি যেন একটি স্বাভাবিক রীতিনীত হয়ে গেছে সবার কাছে।

এসব চাঁদার টাকায় সমাজের একশ্রেণীর চাঁদাবাজরা লাখ পেরিয়ে কোটিপতি বনে গেলেও বিপরীতে শ্রমিক, চালক বা মালিক কারো কোন ধরনের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, কোন শ্রমিক, চালক বা মালিক দৈববিপাকে পড়লেও কোন চাঁদাবাজ খোঁজ খবরে এগিয়ে আসেননি। এমন কি এ কারোনাকালেও উল্লেখযোগ্য কারো দেখা মেলেনি।

সূত্র জানায়, কতেক দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্য কথিত সংগঠনের নেতা দাবিদারদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে চুপসে থাকেন। তাদের আসকারায় চালকরা ভাড়া নামে সাধারণ মানুষের পকেট কাটলেও এতে কোন দায় নেই ওই শৃঙ্খলা বাহিনীরও। যেন তাদেরও হাত পা বাঁধা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কথিত চাঁদাবাজ নেতাদের সাথে শৃঙ্খলাবাহিনীর দহরম সম্পর্কের জের ধরে সোনাপুর হতে মাইজদী পর্যন্ত মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তায় ১০ টাকার ভাড়া স্থলে ২০ টাকা আদায় করছে সিএনজি চালকেরা।

শুধু তাই নয়, যে কোন হরতাল কিংবা কোন আন্দোলন-সংগ্রাম দেখলে সুযোগসন্ধানী চালকেরা সাধারণ নাগরিকের পকেট হাতিয়ে আদায় করে বাড়তি ভাড়া। লকডাউনে তো আরো পকেট ভারি তাদের।

এক যাত্রী অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ১০ টাকার স্থলে ২০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার কাছ থেকে। এ নিয়ে চালকেরা প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সাথে তর্কবিতর্ক ও বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হচ্ছেন। তারা বলছেন চালকেরা যাই দাবি করছেন, সেটাই এখন দিতে হয়।

অনেক যাত্রী লোকলজ্জার ভয়ে এসব চালকের অন্যায় মেনে নিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ যাত্রীরাই এ নিয়ে বাদ প্রতিবাদ করছেন।

তবে কতেক চালক জানান, পুলিশ ও বিভিন্ন সমিতির লোকজনকে ঘাঁটে ঘাঁটে চাঁদা দিতে হয় বলেই তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।

অবশ্য অন্য সূত্র দাবি করছে , পুলিশ এখন প্রায়সই কোন চালকের কাছ থেকে চাঁদা নেননা।তারা চালকের কথিত মালিক, চালক ও শ্রমিক নামীয় সমিতির নেতাদের হাত হয়েই নিয়ে থাকেন নির্দিষ্ট অংকের মাসোয়ারা।

অবশ্য জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাস্তায় সিএনজি থেকে কিছু চাঁদাবাজের চাঁদাবাজির ঘটনাটি জানলেও তারা কিন্তু কোন চাঁদা আদায় করছেননা।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!