জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের কলা। রাতে যে ফল কাঁচা দেখা যায়, তা সকালেই পাকা রসালো ফল হয়ে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজারে।
চিকিৎসকদের অভিমত, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কার্বাইড ব্যবহার ছাড়াও কৃত্রিমভাবে পাকানো হচ্ছে কলা ও বিভিন্ন ফল। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই, এসব ফল সর্বনাশ করে চলছে মানবদেহের। এসব খেয়ে মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা কঠিন ও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জানা যায়, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের আশায় এ কাজে লিপ্ত হলেও এদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনগত ব্যবস্থা।নোয়াখালীর সোনাপুর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি আড়তে ব্যবসায়ীরা কম দামে কাঁচা কলা কিনে কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে রাতারাতি পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছে। আর এ কাজটি চলছে প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই।
জানা যায়, কার্বাইড এমন এক বস্তু, যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে তৈরি হয় অ্যাসিটিলিন গ্যাস। এটা লোহা কাটার জন্য গ্যাস কার্টারে লাগিয়ে ব্যবহত হয়। অ্যাসিটিলিন গ্যাসের উত্তাপ প্রচণ্ড। কার্বাইডের মাধ্যমে এ উত্তাপে পাকানো হয় কলাসহ বিভিন্ন ফল। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে ফলের ভেতর বিষ ঢোকে।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত। রমজানের আগে কলার চাহিদা থাকায় কেমিক্যাল মিশ্রণের বিষয়ে অভিযোগ করেন অনেক ক্রেতা। এ ব্যাপারে কলা ব্যবসায়ীদের মৌকিকভাবে কয়েকবার সতর্কও করা হয়েছে।
নোয়াখালীর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত ফল খেলে মানুষ দীর্ঘমেয়াদী নানা রকম রোগে বিশেষ করে বদহজম, পেটের পীড়া, পাতলা পায়খানা, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া মহিলারা এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ফলের মৌসুমে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানোর বিষয়ে শীঘ্রই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো হবে।
Leave a Reply