দৈনিক দিশারী ডেস্ক
——————
কলকাতা থেকে ১৭৮০ সালে ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে বাংলাদেশে প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। এটা শুধু বাংলাদেশেরই প্রথম সংবাদপত্র ছিল না, বরং গোটা ভারতীয় উপমহাদেশেই বেঙ্গল গেজেট ছিল প্রথম সংবাদপত্র। জেমস অগাস্টাস হিকি ছিলেন এর সম্পাদক-প্রকাশক দুটোই। কিন্তু হিকি ছিলেন অবাঙালি এবং বিদেশিও, পত্রিকাটিও ছিল বিদেশি ভাষায়, ইংরেজিতে।
বাঙালিদের দ্বারা বাংলাভাষায় পত্রিকা বের হতে আরও ৩৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল, যতক্ষণ না ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দের বাঙ্গাল গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। বাঙালি সম্পাদক-প্রকাশক গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এ বছর প্রথম বাংলাভাষায় এই বাঙ্গাল গেজেট নামে সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।
এরপর বাংলাভাষায় অনেক সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ১৮১৮ সালে দিগদর্শন, সমাচার দর্পণ ইত্যাদি অনেক পত্রিকাই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সংবাদপত্র বলতে যা বোঝায়, এগুলো ঠিক তা ছিল না। গবেষক ও পণ্ডিত আনিসুজ্জামান বলেছেন, ‘সমাচার দর্পণের’ একটি অঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল খ্রিস্টধর্মের প্রচার। ফলে অনিবার্যভাবে হিন্দু ও মুসলমানের ধর্ম সম্পর্কে কিছু নিন্দার কথাও পত্রস্থ করতেন। [আনিসুজ্জামান: মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র, বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৬৯, পৃষ্ঠা ২৩]।
ঢাকার প্রথম পত্রিকা বাংলাভাষায় প্রকাশিত হয়ে বের হয়নি। একটি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘দ্য ঢাকা নিউজ’ ঢাকার প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৮৫৬ সালের ২৬শে এপ্রিল আলেকজান্ডার ফর্বেসের সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়। তাই বলা যায়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হলেও ঢাকা নিউজ বাঙালির ছিল না; ভাষায় নয়, সম্পাদনায়ও নয়, এমনকি আদর্শেও নয়। প্রধানভাবে বাংলার অত্যাচারী নীলকরদের পত্রিকা ছিল ঢাকা নিউজ। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেছেন, ‘ঢাকা নিউজ শুধু ঢাকার প্রথম সংবাদপত্রই নয়, পূর্ববঙ্গ থেকে প্রকাশিত প্রথম ইংরেজি সাপ্তাহিকও বটে।’ [মুনতাসীর মামুন: উনিশ শতকে বাংলাদেশের সংবাদ সামরিকপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড), বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৯৭ পৃষ্ঠা ৩]।
ইতিহাসবিদরা মন্তব্য করেছেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ঢাকা প্রকাশ, কলকাতা থেকে প্রকাশিত সোমপ্রকাশ পত্রিকার অনুকরণে হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাস (ঢাকা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, ২০১৫, পৃষ্ঠা ৯১), গ্রন্থে এ মন্তব্য করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঢাকা প্রকাশ নামক সংবাদপত্রটি ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর একটি বিশিষ্ট প্রকাশনা। প্রথম সম্পাদক ছিলেন ঢাকার নর্মাল স্কুলের বিশিষ্ট পণ্ডিত এবং বুদ্ধিজীবী ও কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার [১৮৬৪-১৯০৭]। সে সময়ে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকাগুলোতে বিষয়-বৈচিত্র্য বিশেষ ছিল না। রাজ-রাজাদের খবরাখবর, ধর্ম বিতর্ক ইত্যাদি নিয়েই কলকাতার পত্রিকাগুলো সময় কাটিয়েছে বেশি। কিন্তু ঢাকা প্রকাশ ঢাকা ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শের হয়েও তৎকালীন দেশীয় রাজনৈতিক সংবাদ ও আলোচনাকে এড়িয়ে যায়নি। সাহিত্য-সংস্কৃতির খবর ছাড়াও কুসংস্কার নিরসন, ভাষা ব্যবহার বিতর্ক, পরীক্ষায় নকল, এমনকি খাজা-নবাবদের দান-প্রতিদান নিয়েও নানা মন্তব্য করতে পিছপা হয়নি কখনো ঢাকা প্রকাশ। বিশেষ করে ইংরেজ-নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনির খবর লাগাতার পরিবেশন করে গেছে পত্রিকাটি। দীনবন্ধু মিত্র তখন ঢাকায় ছিলেন, তার ঐতিহাসিক নীলদর্পণ নাটকটি লেখার অনুপ্রেরণা ও মাল-মশলা তিনি ঢাকা প্রকাশ-এর সংবাদাবলি থেকেই পেয়েছিলেন এবং বিখ্যাত নীলদর্পণ নাটকটি প্রকাশিতও হয়েছিল ঢাকা থেকে।
শুধু নীলকর-জমিদার নয়, ঢাকার খাজা-নবাবদের পূর্ব পুরুষ খাজা আবদুল গণিকেও ‘খোঁচা’ দিতে ঢাকা প্রকাশ কার্পণ্য করেনি। খাজা সাহেবের একটি স্কুল নির্মাণের সংবাদ শুনে ঢাকা প্রকাশ মন্তব্য করে যে, মুসলিম এ ধনী ব্যক্তি খাজা সাহেব তো ঢাকায় একটি কলেজই নির্মাণ করতে পারতেন:
আমরা শুনিয়া আহ্লাদিত হইলাম, ‘শ্রীযুক্ত খাজা আবদুল গণি মিয়া একটা অবৈতনিক ইংরেজি বাংলা বিদ্যালয় সংস্থাপন করিয়াছেন, এতদ্বারা নির্ধারণ ও উপায়হীন বালকগণের বিলক্ষণ উপকার দর্শিবে। খাজা আবদুল গণি একজন প্রধান ধনাঢ্য। কিন্তু ঢাকার উন্নতি সাধনার্থে তিনি এই প্রথম সচেষ্ট হইলেন। মনে করিলে খাজা আবদুল গণি অনায়াসে একটি কলেজ সংস্থাপন করিতে পারেন, এরূপ স্থলে তিনি যে এত দিন একটি সামান্য বিদ্যালয় সংস্থাপনেও নিতান্ত উদাসীন রহিয়াছিলেন অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়। যাহা হউক এখন মিয়া সাহেবের নিকট বক্তব্য এই, প্রস্তাবিত বিদ্যালয়টি যাহাতে চিরস্থায়ী হয় তৎপ্রতি যেন তাহার বিশেষ সুদৃষ্টি থাকে।’ [ঢাকা প্রকাশ, ৯ জুলাই, ১৮৬৩]।
ঢাকায় থেকে ঢাকার এমন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখতে ঢাকা প্রকাশ ভয় পায়নি। খাজাদের কাছে ঢাকা প্রকাশ-এর এ নিবেদন ১৮৬৩ সালের, তখন যদিও ঢাকা কলেজ (১৮৪৩ সালে) প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকার তৎকালীন প্রাণকেন্দ্র বর্তমান ‘পুরান ঢাকায়’ তখনো কোনো কলেজ ছিল না। বর্তমান পুরান ঢাকায় জগন্নাথ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৮৪ সালে। তাই ঢাকা প্রকাশ পুরান ঢাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য খাজা আবদুল গনির কাছে নিবেদন করেছিল। এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং তা প্রতিপালনের দিকেও ঢাকা প্রকাশ লক্ষ্য রেখেছিল।
ঢাকার প্রথম মুসলিম সাংবাদিক ও সম্পাদক
—————————————
বাংলাদেশের মুসলমানরা ইউরোপীয় স্টাইলের সাংবাদিকতায় যোগদান করেছিলেন অনেক পরে। ১৮১৬ সালে প্রথম বাঙালি গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য বাঙ্গাল গেজেট নামক পত্রিকা প্রকাশ করে ইতিহাসে নাম লেখান। তারও অনেক পরে ১৮৩১ সালের ৭ মার্চ মুসলিম সাংবাদিক মৌলভী শেখ আলীমুল্লাহর সম্পাদনায় কলকাতায় প্রকাশিত হয়েছিল সমাচার সভারাজেন্দ্র নামক পত্রিকা। এটা ছিল মুসলিম সমাজ সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা। কিন্তু ঢাকায় তখনো কোনো সাংবাদিকতা শুরু হয়নি বা সংবাদপত্রও প্রকাশ হয়নি। ফলে মুসলিম কেন, হিন্দু বাঙালিরও ঢাকায় সাংবাদিকতায় আসা বিলম্ব ঘটেছে। ঢাকায় ১৮৬০ সালে প্রথম পত্রিকা কবিতাকুসুমাবলী প্রকাশিত হলো। কিন্তু এখানে কোনো মুসলিম সাংবাদিক বা সংবাদপত্র ব্যবস্থাপক-প্রকাশকের নাম পাওয়া যায় না। ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ যখন ঢাকা প্রকাশ ঢাকা থেকে মুদ্রিত হয়ে বের হলো, তখন প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম সাংবাদিক ইতিহাসে স্থান করে নিলেন। তিনি মৌলভী আবদুল করিম। বৃহত্তর ঢাকার মানিকগঞ্জের এলাচিপুর গ্রাম ছিল তার জন্মস্থান। ঢাকাবাসী ছিলেন তিনি। তিনিই প্রথম ঢাকার মুসলিম সাংবাদিক।
বৃহত্তর ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকুমাকে আমরা সংবাদ জগতে আরও নানাভাবে অগ্রগামী দেখতে পাই। তৎকালীন পূর্ববাংলায় শহরের বাইরে গ্রাম ও তৃণমূল পর্যায়ে যে সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র প্রকাশের উদ্যোগ দেখা যায়, তাতে মানিকগঞ্জের পারিল গ্রাম থেকে প্রকাশিত পারিল বার্ত্তাবহ ছিল অন্যতম। একজন মুসলমান সম্পাদকের সম্পাদনায় তা প্রকাশিত হয়েছিল, নাম আনিছউদ্দীন আহম্মদ। আনিছউদ্দীন আহম্মদ ঢাকার প্রথম মুসলিম সম্পাদক।
ঢাকার পত্রিকা গুরুত্ব পায়নি কেন ?
———————————
১৮০৯ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক যুবক-সূচন সাময়িক পত্রিকাকে ইতিহাসবিদরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না কেন, এর উত্তরটা কঠিন এক বাস্তবতা। বাংলার ইতিহাস, বাংলা ভাষার ইতিহাস, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এবং বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাস- সবই প্রথম রচিত হয়েছে কলকাতার বিদ্বজ্জন এবং ইতিহাসবিদদের দ্বারা। তারা যেমন বিবেচনা করেছেন, বাঙালির সকল ইতিহাস সেভাবেই রচিত হয়েছে। ১৮০৯ সালে ঢাকা থেকে সাময়িক পত্রিকা প্রকাশের ঘটনাকেও স্বীকার করা হলে বলতে হবে, কলকাতা থেকে বাঙালির প্রথম পত্রিকা বাঙ্গাল গেজেট প্রকাশের সাত বছর আগেই ঢাকা থেকে সাময়িকপত্র প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল।
ঢাকায় তখন সাহিত্য ও সাংবাদিকতা জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার এবং হরিশচন্দ্র মিত্র। সমসাময়িক বাংলায় ঢাকা ও কলকাতার সম্মিলনে যে বুদ্ধিজীবী মহল তখন সরব ছিলেন, তাদের মধ্যে মজুমদার ও মিত্রের প্রতিভা ছিল তুলনারহিত। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগ হয়ে যাওয়ার পরও তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতে যে নানা উত্থান-পতন হয়, তার মধ্যেও কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ও হরিশচন্দ্র মিত্র ছিলেন অমলিন। ঢাকা তাদের সব সময়ই মনে রেখেছে এবং মূল্যায়ন করেছে। স্কুল টেক্সট বুক বোর্ডের বইয়ে তাদের কবিতা : ‘সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় কেহ কারও নয়’; ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি’; ‘চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে’ এসব হলো কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কবিতা। আর হরিশচন্দ্র মিত্রের কবিতা: ‘আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়’; ‘খেলায় মজিয়া শিশু কাটায়ো না বেলা, সময়ের প্রতি কভু করিও না হেলা’ ইত্যাদি কবিতা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ও স্কুলে স্কুলে পঠিত এবং প্রবাদবাক্য সমমর্যাদায় আসীন। কিন্তু তৎকালীন বাংলা সাহিত্যের প্রধান কেন্দ্র কলকাতায় তারা ছিলেন অবহেলিত। বোধ করি, ঢাকা ও পূর্ববাংলার সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী ছিলেন বলেই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের কাছে তারা ছিলেন ‘মফস্বলের’ কবি-সাহিত্যিক।
ইতিহাসবিদ ও লেখকরা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ প্রবণতার ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন করেছেন। কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসবিদদের মধ্যে তৎকালীন ঢাকা, পূর্ববঙ্গ এবং মুসলিম সমাজ সম্পর্কে এক ধরনের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকা এবং তার ইতিহাস ও বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণাই কলকাতায় হয়েছে। আনিসুজ্জামানের ভাষায় এসব, গবেষণায় কিন্তু বাঙালি মুসলমানের পত্রপত্রিকার ধারা ও সমাজেতিহাসের পরিচয় স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েনি। পত্রিকার রচনা সংকলনগুলোতে এসব (মুসলমানদের Ñলেখক) পত্রিকার কোনো উদ্ধৃতি নেই।… সাময়িকপত্রের তালিকাসমূহে মুসলমান-সম্পাদিত পত্রপত্রিকার যথেষ্ট পরিচয়ও লিপিবদ্ধ হয়নি। ফলে বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাস-রচনা কিছুটা অসম্পূর্ণ হয়েছে এবং বাংলাভাষী জনসমষ্টির চিন্তা-জগতের পরিচয়ও কিছুটা খণ্ডিত ও একদেশদর্শী না হয়ে পারেনি। [আনিসুজ্জামান: মুসলিম বাংলায় সাময়িকপত্র, বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৬৯, পৃষ্ঠা ৯]।
ঢাকার সংবাদপত্র ও সাময়িকীর ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রেও কলকাতাকেন্দ্রিক ঐতিহাসিকদের হাতে একই ঘটনা ঘটেছে। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনও লিখেছেন:
বর্তমান বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সংবাদ সাময়িকপত্র নিয়ে এখনো বিস্তারিত গবেষণা হয়নি। সামগ্রিকভাবে বাংলা সংবাদ সাময়িকপত্র নিয়ে কিছু গবেষণা হয়েছে কিন্তু তাতে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত সংবাদ সাময়িকপত্রই গুরুত্ব পেয়েছে। [মুনতাসীর মামুন: উনিশ শতকে বাংলাদেশের সংবাদ সাময়িকপত্র, তৃতীয় খণ্ড, বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা আট]।
কলকাতা এবং অমুসলিম ইতিহাসবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে ঢাকা ও মুসলমান সমাজ ছিল মফস্বলের এবং গণনারও বাইরে। ঢাকার কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ও হরিশচন্দ্র মিত্র এবং মুসলিম-সম্পাদিত সংবাদ-সাময়িকপত্র, এ তত্ত্বের কারণেই ইতিহাসে অনুল্লিখিত এবং গুরুত্বহীন হয়েছে।
লেখক: গবেষক
Leave a Reply