এবং দৈনিক দিশারী’র প্রকাশনা রুপান্তরে আমার কিছু ঋণ

  • আপডেট সময় বুধবার, মে ১০, ২০২৩
  • 217 পাঠক

——————

আকাশ মো. জসিম

সম্পাদক ও প্রকাশক

——————
জীবন সংগ্রামে চলার পথে কখনো কোন সংবাদমাধ্যমের মালিক হওয়ার কোন আকাঙ্খা আমার ছিলনা। ভেবেছিলাম, অন্যের সংবাদমাধ্যমে সম্পাদনা করেই জীবনটা চলে যাবে। আর এভাবে কেটে গেছে দৈনিক দিশারী’র সম্পাদক পদেই ১৮ টি বছর।

২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী করোনার ঘনঘটায় দৈনিকটির একমাত্র স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় এডভোকেট জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বললেন, আকাশ আমি পত্রিকাটি হতে নিজেকে নি:স্বত্ববান করতে চাই। তবে আমি চাই, যেহেতু এর পেছনে তোমার জীবনের অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে, সে কারণে তুমি এর প্রকাশক হলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই। বললেন, তুমি এর বিনিময়ে আমাকে আর্থিক সুবিধা দিলেও নেবো, না দিলেও কোন দাবি রাখবোনা। বললাম, থাকনা এভাবে! বললেন, না। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা দরকার সব করে নাও।

এরপর অতিব স্বল্প সময়েই তার হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসার অনুপ্রেরণায় দৈনিক দিশারী’র প্রকাশনা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে যা যা করনীয় ও দরকার ছিল সবগুলো প্রয়োজনীয় কাগজ ফাইলবন্দি করে জেলা প্রশাসনের বিশেষ শাখায় জমা দিয়েছি। ইতোমধ্যে, প্রশাসনের নানা পর্যায়ের কর্মক্রিয়ায় আজকাল করতে করতে কেটে গেছে আড়াইটি বছর।

২০২২ সালে শেষপ্রান্তে এ বিষয়ে নিজেকে কর্মচেতনায় জাগ্রত করি। যে কারণে আমার আবেদন, অনুরোধ ও নিবেদনের একপর্যায়ে মাননীয় পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা থেকে সুধারাম থানায় ফাইলটি পাঠানো হয়। এরপর, আইনকানুনের রীতিবোধ ও নিয়মরেখার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ সহায়তায় আমার ফাইলটি যথাযথ নিয়মে জেলা প্রশাসনে ফিরে এসে অনুমোদনের দিন, ক্ষণ নির্ধারিত হয়।

সেদিনটিও আমার জীবনে অবিস্মরনীয় করে রাখার মতোই। ওইদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল প্রায় ৩টা পর্যন্ত শ্রদ্ধেয় এডভোকেট জামাল উদ্দিন ভূঁঞা ও তাঁর স্ত্রী মিসেস রওনক জাহান ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লান্তি উপেক্ষা করে মাননীয় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নোয়াখালীর দরবারে শেষ পর্যন্তই আমাকে শনাক্তকরণ কর্মের সবদাপে নিজেদের অপেক্ষমান রেখেছিলেন ।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও নোয়াখালী জজকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি, দৈনিক দিশারী’র একমাত্র স্বত্বাধিকারী জনাব জামাল উদ্দিন ভূঁঞা’র হস্তান্তর রুপরেখার আন্তরিকতা আমাকে চিরদিনই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ রাখবে বলে বিশ্বাস রাখি।

প্রিয় পাঠক,

দৈনিক দিশারী’র প্রকাশনা রুপান্তরের পথে দাপে দাপে যারা আমাকে আকুণ্ঠ সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সহায়তা করেছেন তাদের প্রত্যেকেরই প্রতি বিবেকের অফুরান ভালবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধা।

বিশেষত, নোয়াখালীর সম্মানিত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, দায়িত্বকালীন সময়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মো. নাজিমুল হায়দার, মাননীয় পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও সে সময়ের তদন্ত কর্মকর্তা জনাব জাকির হুসেনের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলার মাননীয় চেয়ারম্যান খায়রুল আনম সেলিম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় পৌরমেয়র জনাব সহিদ উল্যাহ খানঁ সোহেল আমাকে পৃথক-পৃথকভাবে মূল্যায়নসনদ দিয়ে অনুপ্রাণিত করার ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ্য আমার নেই। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

একইসঙ্গে, যারা আমাকে প্রকাশনা রুপান্তরে বিশেষ সহানুভূতি, শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জনাব বখতিয়ার সিকদার, মার্কেণ্টাইল ব্যাংক মাইজদী কোর্ট শাখার ব্যবস্থাপক আমার প্রিয়বন্ধু মমিনুল হক স্বপন, ধর্মপুর ইউপির প্রিয় সচিব মো.শহিদুল ইসলাম, স্নেহের জুয়েল রানা লিটন, প্রিয় মুলতানুর রহমান মান্না, বন্ধু মো. সাজ্জাদ হোসেন ও প্রিয় বন্ধুুসুলভ আনোয়ার হোসেন এবং জেপি শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিও ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

দৈনিক দিশারী’র আগামীর পথচলায় অতীতের ন্যায় সবার আকুণ্ঠ সমর্থন, সহায়তা ও ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়, প্রত্যাশা ও স্বপ্নছোঁয়ায় সবার সহযোগিতা চাই।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!