সাজেকের কিছু রিসোর্ট ও কটেজের খোঁজখবর

  • আপডেট সময় শনিবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
  • 194 পাঠক

ডেস্ক, দৈনিক দিশারী

——————-

মেঘ পাহাড়ে   আলিঙ্গন দেখতে পর্যটকদের কাছে এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য সাজেক। সুন্দর ডেকোরেশন ও ভালো ল্যান্ডস্কেপিক ভিউর জন্য এখানকার কটেজগুলো সাম্প্রতিক সময়ে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যারা এই সময়ে সাজেকে ঘুরতে যেতে চান, তাদের সুবিধার্থে এমন কিছু রিসোর্ট ও কটেজের তথ্য তুলে ধরা হলো।

সাজেক রিসোর্ট : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট সাজেক রিসোর্ট। পর্যটকদের কাছে এই রিসোর্টটির আলাদা চাহিদা রয়েছে। এখানে খাবারেরও ব্যবস্থা আছে। রুমভেদে এসি ও নন-এসি রুমের ভাড়া পড়বে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো। সেনাবাহিনীতে কর্মরত বা প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ডিসকাউন্ট রয়েছে। বুকিং দিয়ে না এলে, রুম খালি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

লুসাই কটেজ : সুন্দর ডেকোরেশন ও ভালো ল্যান্ডস্কেপিক ভিউর এই কটেজের কাপল রুম, ডাবল বেডসহ আছে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।


মেঘ মাচাং : সুন্দর ভিউ ও তুলনামূলক কম খরচে থাকা যায় বিধায় মেঘ মাচাং রিসোর্ট অনেকের পছন্দের শীর্ষে। এখানেও খাবারের ব্যবস্থা আছে। মেঘ মাচাং-এ পাঁচটি কটেজ রয়েছে।

আদ্রিকা ইকো কটেজ : টিজিবি লুসাই কটেজের পেছনে অবস্থিত এই রিসোর্ট। যারা একটু খোলামেলা পরিবেশে নিজেদের মতো করে থাকতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। রিসোর্টের প্রশস্ত বারান্দায় আছে ইজি চেয়ার ও বসার ব্যবস্থা। এই রিসোর্টে মাত্র দুটি বড় কক্ষ রয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ চারজন থাকা যায়।

মেঘপল্লি রিসোর্ট : সম্প্রতি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে মেঘপল্লি রিসোর্ট। সুন্দর ডেকোরেশন ও ভালো ল্যান্ডস্কেপিক ভিউয়ের এই রিসোর্টে কাপল ও ফ্যামিলি প্যাকেজ পাবেন। খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

রুন্ময় রিসোর্ট : এই রিসোর্টে মোট ৫টি রুম রয়েছে। প্রতিটি কক্ষে দুজন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। তবে সাপ্তাহিক বন্ধ অথবা মৌসুমভেদে থাকার খরচের কম-বেশি হতে পারে।

মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট : আকর্ষণীয় ল্যান্ডস্কেপিক ভিউ পাওয়া যায় মেঘপুঞ্জি রিসোর্টে। মেঘপুঞ্জিতে আছে ৪টি কটেজ, প্রতিটিতে ৩-৪ জন থাকা যাবে।

রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউস : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ১৫ জনের মতো থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১০০-২০০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ারটেকার মইয়া লুসাই সব ব্যবস্থা করে দেবেন। লক্ষ্মণ নামেও একজন আছে, যিনি প্রয়োজনে সব সহযোগিতা করবে। এখানে দুটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য টাকা প্রদান করতে হবে।

অনেক সময় পর্যটকের আনাগোনা কম থাকলে রিসোর্টগুলোতে কিছুটা ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে বছরজুড়েই সাজেকে পর্যটকদের কম-বেশি চাপ থাকায় ভ্রমণের পূর্বে কটেজ বুকিং করে যাওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!