দিশারী ডেস্ক। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
তেঁতুল দেখলে জিভে পানি আসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের জুড়ি নেই। যেমন-ফুচকা খেতে গিয়ে যদি দেখেন, তেঁতুল পানি শেষ হয়ে গেছে তাহলে ফুচকা খাওয়ার আনন্দই মাটি হয়ে যায়। চটপটির স্বাদও বাড়িয়ে দেয় তেঁতুলগোলা পানি।
শুধু খাবারে স্বাদ বাড়াতে নয়, স্বাস্থ্যের যত্নেও তেঁতুলের ভূমিকার শেষ নেই। প্রাচীনকাল থেক ঔষধিগুণ সম্পন্ন তেঁতুল নানা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন যদি অল্প করেও তেঁতুল খাওয়া যায়, তা হলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষভাবে রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শরীরে শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীরা যদি ওষুধের পাশাপাশি নিয়ম করে তেঁতুলও খান, তা হলে সুস্থ থাকতে পারবেন।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে : তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের নিয়ম করে তেঁতুল খাওয়া জরুরি। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এই ফল দারুণ উপকারী। হৃদরোগোর ঝুঁকি কমায় তেঁতুল।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে : ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে : তেঁতুলে থাকা হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে ক্ষুধা কমায়। ফলে ঘন ঘন খাওযার প্রবণতা কমে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় তেঁতুলের শরবত রাখতে পারেন।
চুল ও ত্বকের যত্নে : চুল থেকে ত্বক— নিয়ম করে তেঁতুল খেলে আলাদা করে প্রসাধনী ব্যবহার না করলেও চলে। তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে ভেতর থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোনও সমস্যা ত্বকের কাছে ঘেঁষতে দেয় না। একই ভাবে, চুলের যত্নেও তেঁতুলের ভূমিকা অপরিসীম।
Leave a Reply