দিশারী ডেস্ক। ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুব একটা দেখা যায় না। সবাই ওষুধ খেয়ে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলো অ্যাসিডিটি কমায়। হিন্দুস্তান টাইমস।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা বায়ুনিরোধক ও পেট ঠান্ডা করার গুণসম্পন্ন। এটা খুব দ্রুত বুক ও পেট জ্বালা-পোড়া করা, পেট ফাঁপা ও বমি বমি ভাব উপশম করে। তাই অ্যাসিডিটির লক্ষণ দেখা দিলেই কয়েকটি পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। চাইলে এক কাপ পানিতে ৪-৫টি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়েও খাওয়া যেতে পারে। স্বাদ বাড়াতে তাতে একটু মধুও মেশাতে পারেন।
কুসুম গরম পানি ও দই
রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া, দই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে এটি হজমশক্তিও সবল রাখবে। দুপুরের খাবারের পর অল্প টকদই খাওয়া যেতে পারে।
আদা
আদার রস পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সময় এক টুকরো আদা মুখে রাখলে বা এক কাপ পানিতে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে রেখে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শুধু এক চা-চামচ আদার রস দিনে ২-৩ বার খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জিরা
পাকস্থলীর অ্যাসিড দূর করে পেটের ব্যথা কমাতে চমৎকার কাজ করে জিরা। দেড় কাপ পানিতে এক চা-চামচ করে জিরা-ধনিয়া ও মৌরী গুঁড়ো মিশিয়ে খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি কমবে। চাইলে এক গ্লাস পানিতে সামান্য জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে বা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
লবঙ্গ
লবঙ্গ পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি ও গ্যাস দূর করতে পারে। ২-৩টি লবঙ্গ মুখে নিয়ে রাখলে বা সমপরিমাণ এলাচ ও লবঙ্গ গুঁড়ো কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির জ্বালা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
রসুন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুপুরে ভাতের সঙ্গেও ১ কোয়া রসুন খাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে ২-৩ দিন রসুন খেলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকবে।
কলা ও ডাবের পানি
কলায় আছে ফাইবার। তাই এটা খেলে গ্যাসের সমস্যা কমবে। অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে তাই রোজ অন্তত ১টি কলা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া, ডাবের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। দিনে একটি ডাবের পানি খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। এতে উপকারী মিনারেলসও রয়েছে।
Leave a Reply