দিশারী ডেস্ক। ০৪ মার্চ ২০২৪।
চট্টগ্রাম নগরীতে অধিকাংশ ভবনেই নেই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগরীতে নতুন নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অগ্নিনিরাপত্তা ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করেই। অধিকাংশ ভবনেই নেই জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, ফায়ার লিফট এবং ফায়ার কমান্ড স্টেশন। ফলে মারাত্মক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে নগরীর বেশির ভাগ ভবন।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী ভবন নির্মাণের আগে তাদের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়েছে চট্টগ্রামের শতকরা মাত্র সাত জন ভবন মালিক। আবার অনাপত্তিপত্রের সব শর্ত পূরণ করে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়ে নির্মিত হয়েছে মাত্র তিন ভাগ ভবন।
কয়েক বছর আগে চকভিউ সুপার মার্কেট, কেয়ারি শপিংমল, গুলজার মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর হকার মার্কেট, টেরিবাজার, তামাকমুন্ডি লেইন, কর্ণফুলী মার্কেটসহ চট্টগ্রামের ৪৩টি বাজার, মার্কেট-বিপণিবিতানকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে এসব ভবন ও মার্কেটের কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে নগর পরিকল্পনাবিদরা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বিল্ডিং কোড অনুসারে নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ হয়েছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সংস্থাটির কোনো নজরদারি নেই। অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় আনতে না পারলে চট্টগ্রামেও রাজধানীর বেইলী রোডের মতো বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী নগরীতে প্রায় ৭ হাজারের মতো বহুতল ভবনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভবন আবাসিক এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহূত ভবনগুলোই সবচেয়ে বেশি আগুনের ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বহুতল ভবনের পরে চট্টগ্রাম নগরীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বিভিন্ন বস্তি-কলোনি, মার্কেট, শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলো।
Leave a Reply