দিশারী ডেস্ক। ১ জুন, ২০২৪।
সুস্থ্য থাকার জন্য চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনি উপকারি কচু শাক। কচু শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর। কচু শাক নানাভাবে খাওয়া যায়।
এ শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম। এটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। কচু শাকের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে। এই শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে।
এই শাকের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাস। যা দাঁত ও হাড় মজবুত করে। তাছাড়া ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা রক্তশূন্যতা দূর করে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং লৌহ উপাদান রয়েছে।
ভিটামিন সি মানব শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচু শাক খাওয়ানো উচিত। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এটি রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। রক্তের কোলেস্টরেল কমিয়ে উচ্চরক্ত নিয়ন্ত্রণ করে।
নিয়মিত এ শাক খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে। শাকে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য বেশ উপকারি। শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতেও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে এ শাক।
Leave a Reply