প্রকৃতিতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে।
লাল আঙুর
লাল আঙুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড। যা রক্ত সঞ্চালন স্বভাবিক রাখে। লাল আঙুরে ভিটামিন এ, সি, বি৬, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ফসফরাস, ফলিত, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। আঙুরে থাকা উপাদান কিডনির রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধেও কাজ করে। শরীরকে সুস্থ রাখে।
আপেল
কিডনি সুরক্ষিত রাখতে আপেল খান। কারণ, এটি উচ্চ আঁশযুক্ত ফল। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন একটি করে আপেল বা আপেলের জুস খান।
মাছ
মাছকে বলা হয় প্রোটিনের উৎস। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশে মাছে রয়েছে ওমেগা ৩। যা কিডনি ভালো রাখে। এছাড়াও, খেতে পারে ওমেগি ৩ যুক্ত খাবার। একাধিক খাবার ওমেগা থ্রি পরিপূর্ণ। এই উপাদান যেমন কিডনি সুস্থ রাখে, তেমনই দূর করে একাধিক রোগ।
ফুলকপি
ফুলকপি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি। আরও আছে শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও সালফার। নির্দিষ্ট পরিমাণে এগুলো খাওয়া কিডনির জন্য ভালো।
জাম
জামে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কিডনির জন্য ভালো। এতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস থাকে; যা কিডনি ভালো রাখে। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থেকেও কিডনির রোগ দেখা দেয়।
পালং শাক
পালং আমাদের দেশে একটি পরিচিত শাক। এটি ভাজি কিংবা ঝোল রান্না করে খাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞের মতে, পরিমাণ মতো ও নিয়মিত পালং শাক খেলে তার মধ্যে থাকা খাদ্যগুণের ফলে কিডনিতে পাথর থাকলে, তা গুঁড়ো হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
রসুন
কিডনি ভালো রাখতে রসুন খেতে পারেন। এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি। এগুলো কিডনির রোগ নিরাময় করে। জল কম খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপানের জন্য কিডনিতে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই নিয়মিত রসুন খান। রোজ খালি পেটে ১ কোয়া রসুন খেলে উপকার পাবেন। মুক্তি পাবেন কঠিন এই রোগ থেকে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে প্রচুর ফ্লাভনয়েড থাকে; যা রক্তনালীতে চর্বি জমা ঠেকিয়ে দেয়। এছাড়া পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কিডনিজনিত উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিডনির রোগ দূরে রাখতে সক্ষম পেঁয়াজ।
ক্যাপসিকাম
কিডনির জন্য যেসব খাবারকে ভালো বলে মনে করা হয় ক্যাপসিকাম তার একটি। ভিটামিন ও, সি, বি৬, ফলিড এসিড ও ফাইবারে পরিপূর্ণ ক্যাপসিকাম। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সডেন্ট লাইকোপিনের প্রধান উপাদান। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ডিমের সাদা অংশ
সহজলভ্য পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
Leave a Reply