অপরিণত বয়সে জন্ম শিশুমৃত্যুর বড় কারণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৩১, ২০২৩
  • 193 পাঠক

প্রতিরোধে আট পরামর্শ গবেষকদের

————————————————————————————-

দিশারী ডেস্ক। ৩১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।

দেশে প্রতি বছর ৬ লাখ শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে, যা মোট জন্মের ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। অপরিণত বা কম ওজনের জন্ম নেয়া শিশুরা নানা জটিলতার ভোগে। আর এই শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০-৩২ লাখ নবজাতকের জন্ম হয়। ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী ২০ লাখ ৪০ হাজার শিশুমৃত্যুর অর্ধেকই (৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ) ছিল অপরিণত। বিশ্বে বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ শিশু অপরিণত বা কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়। এ ছাড়া অপরিণত জন্ম নেয়া শিশুদের মধ্যে যারা জীবিত থাকে, তারাও নানা স্বাস্থ্য-জটিলতা নিয়ে বেঁচে থাকে।

সম্প্রতি রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ফিনল্যান্ডের টাম্পেইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাম্পেইরে সেন্টার ফর চাইল্ড, অ্যাডোলোসেন্ট এবং দ্য ল্যানসেট এসভিএন সিরিজের প্রধান লেখক ড. পার অ্যাশন, অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি প্রফেসর সামিনা চৌধুরী, বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটির (বিপিএস) মহাসচিব প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান, আইসিডিডিআর, মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী এবং এনটিডব্লিউসি-এনবিএইচের সদস্য ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ল্যানসেটের প্রকাশিতব্য সিরিজের চারটি গবেষণাপত্রের সারমর্ম উপস্থাপন করেন ডা. এহসান। তিনি বলেন, এই সিরিজে মৃত জন্ম এবং অপরিণত বা কম ওজনের জন্ম নেয়া শিশুর মৃত্যুরোধে গর্ভাবস্থায় আটটি সহজ এবং সাশ্রয়ী ইন্টারভেনশনের পরামর্শ দেয়া হয়। মায়েদের ওপর এই আটটি বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া গেলে বছরে আনুমানিক ৫ লাখ ৬৬ হাজার মৃতজন্ম এবং ৫২ লাখ অপরিণত বা কম ওজনের শিশু জন্মের ঘটনা প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র লাভবান হতে পারে।

আট পরামর্শের মধ্যে রয়েছে একাধিক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সম্পূরক, সুষম প্রোটিন সম্পূরক, অ্যাসপিরিন, সিফিলিস চিকিৎসা, ধূমপান ত্যাগের শিক্ষা, গর্ভাবস্থায় ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, উপসর্গহীন ব্যাকটেরিয়ার চিকিৎসা এবং ভেজাইনাল প্রোজেস্টেরন সাপ্লিমেন্ট। অপরিণত জন্মের জটিলতা প্রশমিত করার জন্য দুইটি প্রমাণিত কৌশল-প্রসবপূর্ব কর্টিকোস্টেরয়েড এবং বিলম্বিত কর্ড ক্ল্যাম্পিং।

তিনি বলেন, এই সম্মিলিত হস্তক্ষেপগুলোর মাধ্যমে ৪ লাখ ৭ হাজার ৬০০ নবজাতকের মৃত্যু প্রতিরোধ করার সম্ভাব্যতা তৈরি হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আনুমানিক খরচ হবে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। ল্যানসেট সিরিজের প্রধান লেখক ডা. পার অ্যাশন বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১০ লাখ মৃতজন্ম এবং নবজাতকের মৃত্যু এড়াতে স্বল্প খরচ ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করছে ল্যানসেট সিরিজ।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!