গাঙশালিক : আবাসিক পাখি নিরীহ

  • আপডেট সময় বুধবার, জুন ২৩, ২০২১
  • 814 পাঠক
মাটি খুঁড়ে ভেতরের দিকে ঢোকে, পা ও বুক দিয়ে সেই ঝুরঝুরে মাটি গর্তের বাইরে এনে ফেলে। ৩ থেকে ৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এরা একটু ডানে-বাঁয়ে বা ওপরের দিকে এগিয়ে বড়সড় ডিমের চেম্বার বানায়। গর্তের প্রবেশমুখটা এমন মাপের যে সহজে যাতে সাপেরা গর্তে ঢুকে ডিম-ছানা গিলতে না পারে।
সহজে যাতে খাড়া দেয়াল বেয়ে দাঁড়াশ সাপ বা অন্য সাপেরা গর্তমুখের নাগাল না পায়। নাগাল না পায় খ্যাঁকশিয়াল-ছোট বেজি-বড় বেজি-শিয়াল-খাটাশ ও বনবিড়ালেরা। শুধু ডিম ও পিচ্চি ছানা ছাড়া সাপের কবলে পড়ার আশঙ্কা একেবারেই নেই। তবে উড়ু উড়ু ছানারা যখন গর্তমুখে বসে খিদে ও বায়নার কান্না ছড়ায়, তখনই সাপ বাদে অন্যরা এসে ছানা নিতে পারে। দুর্দান্ত দর্শনীয় ডাইভ মেরে নেমে আসতে পারে তুখোড় শিকারি পাখি বাজ তুরমতী।

তা ছাড়া গাঙশালিকেরা দক্ষ আর্কিটেক্ট ও মাটিবিজ্ঞানী। ওদের গর্ত খুঁড়ে দেখলে বিস্মিত হতে হবে। গর্তটি শেষ করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। এরা ডিম পাড়ে ৩ থেকে ৭টি। দুজনেই ডিমে তা দেয় পালা করে। ডিম ফুটে ছানা হয় ১৪-২১ দিনে। সব বাসার ছানাপোনারা যখন উড়তে শিখে যায়, তখন মা-বাবাদের কী যে আনন্দ হয়!

গাঙশালিকের ইংরেজি নাম ব্যাংক ময়না। বৈজ্ঞানিক নাম Acridotheres ginginianus। দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার। ওজন ৮৫ গ্রাম।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!