হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের নোয়াখালী কার্যালয় লাপাত্তা, প্রতারনার ফাঁদে গ্রাহকেরা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
  • 265 পাঠক

প্রতিনিধি, দৈনিক দিশারী


হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর নোয়াখালীর কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রতারনার ফাঁেদ অসহায় হয়ে পড়েছেন নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার সাধারণ গ্রাহক।

মেয়াদ শেষে এ কোম্পানীর প্রচারিত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশায় স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো এখন বিমর্ষ বদনে, নিরবে নির্ভতে চুপসে গেছেন। হা-হুতোশ করছেন অনেকে। বলছেন, এ প্রতারকদের ফাঁদে আসলেই তারা পা দেয়া ঠিক হয়নি।

জানা যায়, প্রায় দু’যুগ আগে এ ইন্স্যুরেন্সটি এ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাড়া মহল্লায় ক্ষুদ্র, মাঝারী সঞ্চয়ের নামে বীমা কর্মী নিয়োগ দেয়। এ সময় স্থানীয়দের হাত করে তারা তৃণমূলের হাজার হাজার নারী, পুরুষকে বিভিন্ন লোভ লালসার কথা বলে গ্রাহক করে নেয়।

এরপর সাধারণ মানুষকে বীমার চুক্তিপত্রের নানা অজুহাত তুলে ধরে সঞ্চয়ের নামে বছরের পর বছর সেসব গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু, প্রায় গ্রাহকের বীমার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে ও গ্রাহকের প্রাপ্য টাকা পরিশোধের সময় অতিনিকটে হওয়ায় ধীরে ধীরে এ কোম্পানী নোয়াখালীতে নিজেদের কার্যালয়ের অস্তিত্বই ঘুঁটিয়ে নেয়।

জানা যায়, গত ৫/৭ বছর আগে শহরের অন্য জায়গা ছেড়ে নোয়াখালী শহরের প্রধান সড়কে নাছির বাদার্সের চার তলায় নোয়াখালী কার্যালয় নামে অফিস নেয়। এ সময় এ কার্যালয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত সব টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু, গত প্রায় এক বছর আগে কোন গ্রাহককে না জানিয়ে রাতের আঁধারে ভবন ছেডে কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়ে যায়।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন গ্রাহক বর্তমানে নোয়াখালীর কোথাও তাদের দাপ্তরিক কার্যালয়ের সাইনবোর্ড কিংবা কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাননি।

ডনয়মি টাকা দিয়ে সদরের গ্রাহক নাছিমা, হালিমা, রহিমা ও ছলেমা জানান, তারা গত ১৮টি বছর ধরে একরকম না খেয়েও টাকাগুলো পরিশোধ করেছেন। তাদের অনেক আশা ছিল এ টাকা দিয়ে পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্যে বড় কিছু করবেন। কিন্তু, বর্তমানে তারা পুরো চোখেই অন্ধকার দেখছেন।

স্থানীয় কর্মীরা বলেছেন, তাদের দায়িত্ব ছিল গ্রাহক করে দেয়ামাত্র। এরপর মাসিক কিংবা বছরের সব টাকা পয়সাই গ্রাহকেরা অফিসে গিয়ে দিয়ে এসছে বলে জানান এক কর্মী নজির আলম।

জানা যায়, প্রায় গ্রাহকের বীমার মেয়াদ শেষে সব টাকা একসাথে দেয়ার সময় হওয়ায় এ কোম্পানীর লোকজন পালিয়ে যায়। তবে কিছু গ্রাহক জানান, তারা ফোন দিলে অফিস সহায়ক পরিচয়ে এক কর্মী বলেন, ফেনী আসেন, দেখা যাবে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!