বাংলাদেশে সাংবাদিকরা কাজ করেন বিরোধপূর্ণ ও বিপজ্জনক পরিবেশে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
  • 128 পাঠক

অনলাইন ডেস্ক
১৯ জানুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার

———————————

ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইন্সটিটিউট (আইপিআই) বলেছে, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা কাজ করেন বিরোধপূর্ণ এবং বিপজ্জনক এক পরিবেশে। মাঝে মাঝেই তারা শাররিক আক্রমণ-হুমকি, আইনি হয়রানি এবং গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হন। তাদেরকে সেন্সরশিপ করতে হয়। নজরদারি করা হয় তাদের ওপর। বহুল বিতর্কত আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করে চলেছে অব্যাহতভাবে।

———————————-

আইপিআইয়ের প্রতিবেদন

———————————–
২০২২ সালে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে কমপক্ষে ৩০ টি প্রেস ফ্রিডম লংঘন হয়েছে বলে শনাক্ত করেছে আইপিআই। এর মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর শাররিক হামলার ঘটনা আছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমুলক সাইবার রেজুলেশন প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইপিআই বলেছে, এই সময়ে দু’জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশে। মাদক পাচারকারীরা ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে গুলি করে হত্যা করেছে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে।এর আগে তিনি ওই এলাকায় মাদক পাচার নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন।

নিখোঁজ হওয়ার পর দৈনিক কুষ্টিয়ার খবরের সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৭ জুলাই। তার পরিবারের দাবি, রুবেলকে তার রিপোর্টের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আইপিআই বলেছে, এ সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে তিনজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এই আইনটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক শত সাংবাদিককে টার্গেট করতে ব্যবহার করা হয়েছে এই আইন। মনিটরিংয়ের এই সময়টাতে জিজিটাল এবং ওটিটি প্লাটফরমে নতুন নিয়ন্ত্রণমুলক পদক্ষেপ প্রস্তাব করেছে সরকার। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার আরও গলা টিপে ধরবে।

নতুন এই প্রস্তাবনায় ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের ঐক্য, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বের’ প্রতি হুমকি এমন কন্টেন্টকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে এর আওতায় থাকবে জাতীয় সঙ্গীত বা পতাকা নিয়ে সমালোচনা। এর আওতায় হোয়াটসঅ্যাপ এবং সিগন্যালের মতো যোগাযোগ মাধ্যমে খসড়ায় উল্লেখিত নির্দেশনা লংঘন হচ্ছে এমন কাউকে সন্দেহ করলে তাকে খুঁজে বের করা এবং শনাক্তের কথা বলা হয়েছে।

চলমান আন্তঃসীমান্ত প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন নিয়ে তথ্য মনিটরিং এবং সংগ্রহ করে আইপিআই।

একই সঙ্গে তারা ভারত, পাকিস্তান, নেপালেরও মিডিয়াগুলোকে একত্রিত করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে। তাতে দক্ষিণ এশিয়ায় সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কিভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলায় সচেতনা সৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!