লামিয়া হাসান টিনা।। ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।।
প্রত্যেকটি দেশেরই একটি নির্দিষ্ট ভূমি থাকে। তবে প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড নামক দেশটির কোনো ভূমি নেই। সংক্ষেপে একে সিল্যান্ড বলা হয়। মূলত দেশটির অবকাঠামোটি একটি ডুবন্ত জাহাজের উপরে গড়ে উঠেছে । সিল্যান্ড পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ। কোনো দেশ বা জাতিসংঘ একে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি। তবু দেশটি নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটির নিজস্ব পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্টসহ সবই রয়েছে। ইংল্যান্ডের সমুদ্রতীর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে উত্তর সাগরে এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটি অবস্থিত। দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ বর্গমিটার বা শূন্য দশমিক শূন্য ২৫ বর্গকিলোমিটার। এটির রাজধানীর নাম এইচ এম ফোর্ট রাফস। দেশটির প্রচলিত ভাষা ইংরেজি এবং মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার।
তাদের দাবি, এ মুদ্রার মান আমেরিকান ডলারের সমান। বাইরের দেশে এ মুদ্রা চলে না। এ দেশটিতে প্রবেশ করলে একটিমাত্র ঘরই চোখে পড়বে। এখানকার জনসংখ্যা ২৭ দাবি করা হলেও স্থায়ী জনসংখ্যা চার থেকে পাঁচজন। তারা সবাই বেটস পরিবারের সদস্য।
সিল্যান্ড আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনা ও নৌবাহিনী কর্তৃক স্থাপিত একটি সামুদ্রিক দুর্গ। যুদ্ধ শেষে রয়্যাল নেভি ১৯৫৬ সালে এ দুর্গটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে । এরপর ১৯৬৭ সালে বেতার সম্প্রচারকারী রয় বেটস এই স্থানটির দখল নেন। বেটস তার স্ত্রীর জন্মদিন ২ সেপ্টেম্বরে একে ‘প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড’ নামে এক সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন। এই অবকাঠামোটির অবস্থান আন্তর্জাতিক জলসীমায় হওয়ায় ইংল্যান্ডের রয়্যাল নেভি এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।
সিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রয় বেটস ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে সিল্যান্ড চালাচ্ছেন বেটসের ছেলে মাইকেল। মাইকেল ছাড়াও দেশটিতে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান থাকে।
সিল্যান্ড বেড়াতে যেতে চাইলে সে দেশের পাসপোর্ট করতে হবে । যদিও বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এ পাসপোর্টের কোনো মূল্য নেই।
Leave a Reply