কবিরহাটে জেলা পরিষদের খালে বহুতল, প্রভাবশালীরা অর্থের বিনিময়ে

  • আপডেট সময় বুধবার, মার্চ ২৭, ২০২৪
  • 104 পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি । ২৭ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। 

নোয়াখালীর কবিরহাটের বাটইয়ার ভুইয়ার হাটে জেলা পরিষদের খালের ওপর বহুতল ভবন নিমার্ণ করছে একটি প্রবাসী পরিবার। এতে ওই এলাকার পানি চলাচলের নিষ্কাশন ব্যবস্থাও পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে যে কোন সময়ে। যাতে ওই অঞ্চলে কৃষি হতে শুরু করে আবাদী জমির ফলনের ব্যাপক ক্ষতিসাধনসহ নানা ভোগান্তির শিকার হতে পারে ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী ওসমান গনি, ইসমাইল ও নজরুল আর্থিকভাবে জোরালো থাকায় স্থানীয়দের কেহ এ নিয়ে উচ্চ্যবাচ্য করার সাহস রাখেননা।

তাছাড়া স্থানীয় রাজনীতির প্রভাবশালীরাও অর্থের বিনিময়ে তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, খোদ একজন জনপ্রতিনিধিই তাদের হয়ে প্রকাশ্যে তদবির করছেন প্রশাসনের দরবারে।

তবে ভবন নির্মাতার অন্যতম নজরুল মুঠোফোনে দাবি করেন, তারা তিন ভাই ওই জায়গাটি নোয়াখালী জেলা পরিষদ থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়েছেন। তবে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে বহুতল ভবন করার প্রশ্নে কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি। বলেন, নিজেদের প্রয়োজনে এসব করছি। তাছাড়া তাদের এমন দখলদারিত্ব বিষয়ে জেলা পরিষদের সবারই জানা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রকাশ্যে জেলা পরিষদের খালের ওপর ভবন নির্মাণের সাথে পরিষদের কতেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীও জড়িত রয়েছে মর্মে দুষেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, পরিষদের কতেক কর্মচারী মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে এ জায়গাটি বন্দোবস্ত প্রদান করে মূলত চিরতরে জেলা পরিষদকে দখলচ্যুত করে চলছেন।

তবে জেলা পরিষদের স্টেনোগ্রাফার (সাঁটলিপিকার) নুর উদ্দিন বলেন, আমি কোন দখলবাজকে চিনিনা। আমরা এ বিষয়ে জানার পর পরিষদের এক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বিষয়ে তাদের নোটিশ করেছি। তারা গত ২৫ তারিখে এক চেয়ারম্যানসহ এসেছে।

তিনি বলেন, এ সময় পরিষদের প্রধান নির্বাহী পরিষ্কারভাবে তাদের বলে দিয়েছেন, খাল রক্ষার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহীকে লিখিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে অনুরোধ করবেন। একই বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারকেও জানাবেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আমার নজরে আসার পরই আমরা তাদের দখলদারিত্ব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে চিঠি দিয়েছি। যেহেতু, সরকারী সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনেরও।

একই বিষয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!