নোয়াখালী ক্লাব, ঢাকা লিমিটেডে শহীদুল-জামাল পরিষদ নিয়ে আমার দু’টো কথা

  • আপডেট সময় সোমবার, মার্চ ৪, ২০২৪
  • 173 পাঠক

এ কে এম ফারুক হোসেন। ৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে খ্যাত সমতট ভূমি নোয়াখালী জেলা। এক সময়ের সমৃদ্ধ এ জনপদটির মানুষ কালক্রমে ভাগ্যান্নষণে দেশ ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েন।কঠোর পরিশ্রম, সততা, মেধা, নীতিবান আদর্শিক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সেসব শহর, বন্দরে স্হানীয় মানুষেরা নোয়াখালীবাসীকে আপন করে নেয়। শুধু তাই নয়, নেতৃত্বের জায়গাটুকু তাদের হাতে তুলে দেয়।

বাংলাদেশে ও বিদেশে ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে।সেসব নের্তৃত্ব স্হানীয়দের হতাশ করেনি। এর প্রমান মেলে দেশের বিভিন্ন স্হানে ভ্রমণে গেলে।জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের জন্মস্হান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে এ বিষয়ে আমার সুখকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল।এই লেখকের জন্মদাতা পিতাও পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাসে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। পাহাড়ি-বাঙালিরা আজও তাঁকে স্মরণ করে কর্ম নিষ্ঠাবানতার কারণে।

প্রতিটি নোয়াখালীবাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, “পরিশ্রমই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। কেননা তাঁরা আল্লাহর পবিত্র কুরআন পাঠে সেই জ্ঞান অর্জন করেছে। তো এমন একটি জেলা যাদের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি থাকার পরও রাজধানী ঢাকায় তাদের নিজস্ব একটি ক্লাব কেনো থাকবে না ?

এমন বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে নোয়াখালী অন্ত:প্রাণ কিছু তরুণের দৃঢ় সংকল্পের ফসল আজকের নোয়াখালী ক্লাব লিমিটেড। কথায় আছে, নোয়াখাইল্যারা যখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে তখন তাদের ঠেকায় কে ?

এরই আলোকে ২০১৭ সালে ঢাকার বুকে নব-ইতিহাস সৃষ্টি করে জন্ম নেয় এই ক্লাবটি। হাঁটি-হাঁটি, পা-পা করে আজকে জানান দেয়ার মতো একটি অবস্হায় এসেছে।সেই তরুনদের দেয়া তথ্যমতে সেদিন সেসব দুঃসময়ে সবচেয়ে পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন যিনি, তিনি নোয়াখালীর কৃতি সন্তান, দেশের নামকরা ব্যবসায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী মো. শহীদুল আহসান।

এই গুনী মানুষটির সম্পর্কে অন্য কোন সময় লেখার ইচ্ছে জমা রাখলাম । জানামতে, ক্লাবটির জন্মের পর হতে এ পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে অনেক বন্ধুর পথ। সে পথ-পরিক্রমায় ক্লাবটির একটি স্বচ্ছ ইমেজ তৈরি করতে সমর্থ হয়।এ প্রসঙ্গে একটি কথা না বললেই নয়।

আমার এক পরিচিত ভদ্রলোক ওয়াইন থোন মঙ।তিনি কক্সবাজার জেলার উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।কাজ করছেন একটি চায়না পাওয়ার প্লান্টের এ্যাডভাইজার হিসেবে।তিনি ক্লাবটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমাকে যা বললেন, তাতে আমি আবেগে-আপ্লূত, বিষ্ময়ে-হতবাক।তিনি বললেন, নোয়াখালী ক্লাবটির নাম শুনেছি। এটা কয়েক বছরের মধ্যে আলোচনায় ওঠে এসেছে।

তিনি আরও যোগ করলেন,”এটা কেবলই সম্ভব হয়েছে আপনারা নোয়াখালীর মানুষ বলে “।তখন ভাবছিলাম, ক্লাবটি কারা চালায় ? একজন অবাঙালির মুখে যখন নোয়াখালীর সফলতার গল্প শুনতে পাই, যে কি আনন্দ তা লিখে প্রকাশ করা হয়তো সম্ভব নয়।
আর এটা জেনে আনন্দিত হয়েছি, ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ফের সভাপতি প্রার্থী মো. শহীদুল আহসান। তিনি আবার সভাপতি নির্বাচিত হলে কি করবেন তাঁর একটি রূপরেখা হাতে পেয়েছি। রূপরেখাটি কয়েকবার পড়েছি।ভদ্রলোক কি প্রতিশ্রুতি দিলেন ?

এটাকে এককথায় বললে বলা যায়, অনেক সাহসী গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে সামাজিক ও মানবিক কাজে কিভাবে ক্লাবকে ব্যবহার করতে হয় সেটার দিকনির্দেশনা।আমিও নতুনভাবে বিষয়টি জেনেছি। সাংবাদিকতার দরুন অল্প বিস্তর কয়েকটি দেশে ভ্রমনের সুযোগ হয়েছিলো। সেসব উন্নত দেশের ক্লাবগুলোতে মানবিক ও সামাজিক প্রচুর কাজ হয়। সে-সকল উন্নত দেশের মানবিক কাজগুলোকে আমাদের দেশীয় ক্লাবটিতে প্রয়োগ করবেন এটাও বেশ চিত্তাকর্ষক।

এদেশে বেশকিছু অভিজাত বনেদি ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয় বৃটিশ বেনিয়াদের হাত ধরে। মানব কল্যাণে, রাষ্ট্রীয় কল্যাণে তেমনভাবে কাউকে কখনও এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি বাংলাদেশে।সেক্ষেত্রে শহীদুল আহসানের দেয়া প্রতিশ্রুতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

একই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জামাল উদ্দিন একজন দেশসেরা ঠিকাদার বলেই জানি।বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে উচ্চ শিক্ষা বিস্তার ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য তাঁর অবদান যে কেউ বেগমগঞ্জে গেলে জানতে পারবেন। এর বাইরে অসংখ্য মানবিক সহায়তার গল্পের কিছু খোঁজ পাই।

পরিষদের অন্য যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের অবদানও কিন্তু কম নয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, এখানে রয়েছে দেশসেরা ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, উদীয়মান তরুণ, প্রতিশ্রুতিশীল ব্যারিস্টার, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, রয়েছেন আলোকিত সাংবাদিক ও সুধীজন ।

একটি ক্লাবকে মানবিক, অভিজাত ও পরিচ্ছন্নভাবে দেশ-বিদেশে উপস্থাপন করাটা বেশ জরুরি বলে মনে করি। আর একাজ একজন কিংবা দু’জন মানুষ মিলে করা সম্ভব নয়।এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত মানুষের প্রয়াস।

শহীদুল আহসান-জামাল উদ্দিন পরিষদ এ কাজটি যে করতে পারবে সেটার প্রমাণ কিন্তু তাঁরা দিয়েছে।শিক্ষিত, মার্জিত সামাজিক সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল মানুষগুলোর নেতৃত্ব দেয়া শহীদুল আহসান জ্বেলেছেন প্রদীপের আলো।এই আলোয় অন্ধকারকে পরাভূত করে নোয়াখালী ক্লাবকে করবেন আলোকিত, স্হান পাবে বিশ্বের প্রথম সারির ক্লাবের মধ্যে, ভোটারদের এমনটাই প্রত্যাশা।

পরিশেষে এই বলে ইতি টানতে চাই, নোয়াখালীবাসীর মান-ইজ্জত প্রবাহমান রাখার পাশাপাশি এর ইমেজ বৃদ্ধিতে আলোর মশাল বহনকারী শহীদুল আহসান – জামাল উদ্দিন পরিষদকে সম্মানিত ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এমনটা আশা করে রইলাম।

লেখক : সাংবাদিক ও পরিবেশ উন্নয়ন কর্মী।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!